—প্রতীকী ছবি।
বছরের অর্ধেক কেটে গেল। এখনও বহু স্কুল ‘কম্পোজ়িট গ্রান্ট’ পায়নি বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষকদের একাংশের। তাঁদের বক্তব্য, কাজকর্ম চালাতে বহু স্কুল কম্পোজ়িট গ্রান্টের উপরে নির্ভরশীল। এই টাকা এখনও না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
প্রধান শিক্ষকেরা জানান, স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যার উপরে নির্ভর করে কম্পোজ়িট গ্রান্ট মেলে। সেই মতো কোনও স্কুল ৫০ হাজার, কেউ ১ লক্ষ বা কেউ তারও বেশি পায়। এই টাকায় স্কুলের ছোটখাটো মেরামতি, খাতা-ফাইল-পেন কেনা ও দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রভৃতি হয়। প্রধান শিক্ষকদের একাংশ জানান, পড়ুয়ারা বছরে ২৪০ টাকা বেতন দেয়। এ ছাড়া স্কুলগুলির কোনও আয় নেই। এই অবস্থায় কম্পোজ়িট গ্রান্ট অনিয়মিত হলে স্কুল চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে এই বরাদ্দ ক্রমশই কমানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে অনিয়মিতও হয়ে পড়েছে। আমরা শিক্ষা দফতরকে কম্পোজ়িট গ্রান্ট দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি।”
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষক নেতা নবকুমার কর্মকার বলেন, “করোনার পর থেকে কম্পোজ়িট গ্রান্ট অনিয়মিত হয়ে গিয়েছে। স্কুল মেরামতির জন্য আলাদা করে তহবিল বহু স্কুলই পায় না। তাদের কম্পোজ়িট গ্রান্ট ভরসা। সেটাও তারা নিয়মিত পাচ্ছে না।”
যদিও শিক্ষা দফতরের এক কর্তার কথায়, “কম্পোজ়িট গ্রান্ট, ইউনিফর্ম গ্রান্ট এবং স্কুল মেরামতি গ্রান্ট রাজ্য ও কেন্দ্র যৌথ ভাবে দেয়। কেন্দ্রের তরফের অংশ মিলছে না। কেন্দ্রকে তাদের অংশ দেওয়ার কথা বার বার বলা হয়েছে।”