সাধারণতন্ত্র দিবসে রেড রোডে কুচকাওয়াজ। —ফাইল চিত্র।
সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে প্রতি বছরের মতো এ বারও কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। আর সেই কারণে রবিবার সকাল থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায়। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, যত ক্ষণ কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান চলবে, তত ক্ষণ ওই রাস্তাগুলিতে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে। কুচকাওয়াজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও গাড়িকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হবে না।
যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কোন কোন রাস্তা বন্ধ থাকবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রেড রোডে সমস্ত যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হসপিটাল রোডের পূর্ব ও পশ্চিম দিক বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়াও লাভার্স লেন, ঘোড়া পাস থেকে জওহরলাল নেহরু আইল্যান্ড পর্যন্ত খিদিরপুর রোড বন্ধ থাকবে। যদিও এজেসি বোস রোড এবং খিদিরপুর ব্রিজে ওঠা গাড়িগুলির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া রয়েছে। কুচকাওয়াজের কারণে আরআর অ্যাভিনিউ, গোষ্ঠ পাল সরণি (কিংসওয়ে), কুইন্স ওয়ে, ডাফরিন রোড, আউট্রাম রোড, এসপ্ল্যানেড র্যাম্পও বন্ধ করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের জানায়, কুচকাওয়াজ নির্বিঘ্নে শেষ করার জন্যই রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমনিতেই সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কলকাতায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ২৬ জানুয়ারির জন্য কলকাতায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, চার জন যুগ্ম কমিশনার, ২২ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং ৪৬ জন এসি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া ১১৯ জন ইনস্পেক্টর-সহ ২৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।
রেড রোড চত্বরকে পৃথক পৃথক জ়োনে ভাগ করা হচ্ছে। প্রতিটি জ়োনের দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, উপর থেকে নজর রাখার জন্য ১১টি ওয়াচ টাওয়ারও বসানো হবে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হোটেলগুলিতে নিয়মিত চেকিং চলছে। নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের জন্য প্রতি বছরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে কলকাতা পুলিশ। তবে এ বার নজরদাবি আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এ বছরে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বাড়তি পুলিশি নজরদারির একটি অন্যতম কারণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি।