কলকাতার রাস্তায় নাকা চেকিং চলছে পুলিশের। —ফাইল চিত্র।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে এ বার বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুলিশ। বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কথাও মাথায় থাকছে পুলিশের। সাধারণতন্ত্র দিবসের জন্য প্রতি বছরই নজরদারির অতিরিক্ত বন্দোবস্ত রাখে লালবাজার। এ বারও তা করা হচ্ছে। তবে লালবাজার সূত্রে খবর, এ বছরে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বাড়তি পুলিশি নজরদারির একটি অন্যতম কারণ বাংলাদেশের পরিস্থিতি।
২৬ জানুয়ারির জন্য কলকাতায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন দু’জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, চার জন যুগ্ম কমিশনার, ২২ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক এবং ৪৬ জন এসি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া ১১৯ জন ইনস্পেক্টর-সহ ২৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। রেড রোড চত্বরকে পৃথক পৃথক জ়োনে ভাগ করা হচ্ছে। প্রতিটি জ়োনের দায়িত্বে থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। পাশাপাশি, উপর থেকে নজর রাখার জন্য ১১টি ওয়াচ টাওয়ারও বসানো হবে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হোটেলগুলিতে নিয়মিত চেকিং চলছে। নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। লালবাজারের তরফে শহরের রাস্তায় পুলিশি টহলদারিও চলছে।
সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-ও। একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে বিএসএফ। সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সব ক’টি বর্ডার আউটপোস্টকে সতর্ক করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে বাড়তি সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এই কয়েক দিন সীমান্ত বার বার মহড়া চালাবেন জওয়ানেরা। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হবে।
গত বছরে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে সজাগ নজর রেখেছে ভারত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এখনও বেশ কিছু অঞ্চল কাঁটাতারহীন অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি বিএসএফের তরফে সীমান্তে কাঁটাতার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। বস্তুত অতীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টা দেখা গিয়েছে এ দেশে। বর্তমানে বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে আরও সতর্ক কলকাতা পুলিশও।