উত্তপ্ত সন্দেশখালি। — ফাইল চিত্র।
শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেদখল হওয়া জমি ফেরাতে উদ্যোগী প্রশাসন। এতে কি আন্দোলন কিছুটা থিতিয়েছে সন্দেশখালিতে?
বেড়মজুর ১ পঞ্চায়েতের বটতলা এলাকার এক মহিলার কথায়, “গ্রামের পরিকাঠামোগত উন্নতির আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। গ্রেফতার হয়েছে শাহজাহানরাও। তাই ধীরে চলো নীতি নিয়েছি। রাস্তা, আলো, পানীয় জলের ব্যবস্থা চাই। স্থানীয় ঝুলিয়া খাল দখলমুক্ত করতে হবে। শাহজাহানদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে আবার আন্দোলন হবে।” সন্দেশখালি পাত্রপাড়ার এক ব্যক্তির কথায়, “অনেকে এখন সন্তুষ্ট। কিন্তু আন্দোলন এ ভাবে থামলে চলবে না। রাজ্য সরকার বদল না হওয়া পর্যন্ত জারি রাখতে হবে।” বেড়মজুর পঞ্চায়েতের এক আন্দোলনকারী বলেন, “লড়াই জারি থাকবে। এ ভাবে লড়াই করে ভোট লুট আটকাতে হবে।”
সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “আমরা জনসংযোগ করতে চেষ্টা করছি। বড় সভাও হবে বসিরহাটে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন।” সূত্রের খবর, ২০ মার্চ বসিরহাটে আসতে পারেন অভিষেক। বিজেপি সূত্রের খবর, ১০ মার্চ শুভেন্দু অধিকারী সরবেড়িয়ার সুন্দরিখালিতে সভা করবেন। ১০ মার্চ বাম রাজ্য নেতৃত্বেরও সন্দেশখালি আসার কথা।
বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর বসিরহাটে এসপি অফিস অভিযান ছিল এ দিন। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধর, ময়ূখ বিশ্বাসদের নেতৃত্বে দুপুরে মিছিল এসপি অফিসের সামনে ব্যারিকেড টপকাতে গেলে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের সঙ্গে। অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালায়। বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয় বসিরহাট-সংগ্রামপুর রোড। পরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। মীনাক্ষী বলেন, “এখনও পুলিশ মানুষকে নানা ভাবে ভয় দেখাচ্ছে। বিরোধী দলের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
মিনাখাঁর এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “পুলিশ মানুষের কাছে গিয়ে অভিযোগ শুনছে। পদক্ষেপ করছে। যা যা করণীয়, তা দলমত নির্বিশেষে করা হচ্ছে। ধাপে ধাপে ১৪৪ ধারাও তোলা হচ্ছে।”