—ফাইল চিত্র।
লেডি ব্রেবোর্ন, বেথুন-সহ রাজ্যের অনেক কলেজে স্নাতক স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে বহু আসন খালি তো আছেই। এমনকি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখাতেও অনেক আসন শূন্য! শুক্রবারের হিসেব: সেখানে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২৯টি আসন ফাঁকা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ২৮, ইলেকট্রিক্যালে ২৭, তথ্যপ্রযুক্তিতে ২২, কেমিক্যালে ২১, কম্পিউটার সায়েন্সেও ১৬ আসনে এখনও কোনও পড়ুয়া জোটেনি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬টি বিভাগ মিলিয়ে স্নাতক স্তরে মোট ২৬১টি আসন খালি। মোট আসন ১২৭৩টি।
খালি পড়ে থাকা আসন ভরানোর জন্য বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিং হবে ১৬, ১৭ এবং ১৯ অগস্ট। গত বছর তিন দফার কাউন্সেলিংয়ের পরে ২৫৩টি আসন ফাঁকা ছিল। চলতি বছরে শূন্যতা আরও বেড়েছে। এ বার যাদবপুরে এ রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য ৯০ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা হয়েছে। অন্যান্য সংরক্ষণের পাশাপাশি এই সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করছে শিক্ষা শিবির। রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে ভর্তির ক্ষেত্রে সুবিধা পান, সে-দিকে নজর রেখেই এই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সংরক্ষণের বিষয়ে প্রথমে সরব হয়েছিল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে, সাধারণ শাখার (জেনারেল ক্যাটিগরি) এই ৯০ শতাংশ সংরক্ষিত আসনেই শূন্যতা সব থেকে বেশি। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ১৬টি সংরক্ষিত আসন ফাঁকা। সিভিলে ১৭, ইলেকট্রিক্যালে ১৬, তথ্যপ্রযুক্তিতে ১২, কেমিক্যালে ১২, কম্পিউটার সায়েন্সে ন’টি— সব মিলিয়ে এই ক্যাটিগরির ১৩৮ সংরক্ষিত আসন ফাঁকা।
সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, তিন দফার কাউন্সেলিংয়ের পরে দেখা যায়, মোট ১২৭৩টি আসনের মধ্যে ১২৬০টিতে ভর্তি হতে সম্মতি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাই মনে করা হচ্ছিল, এ বার বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনই হবে না। কিন্তু সকলে ভর্তি হননি। ২০ জুলাই পর্যন্ত ১৯৭টি আসন ফাঁকা ছিল। কিন্তু পরে তা আরও বেড়ে হয় ২৬১।
এ বছর রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১১৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসন-সংখ্যা ৩৩ হাজারের কিছু বেশি। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রের
খবর, তিন দফার অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের পরে সব মিলিয়ে ২১ হাজারেরও বেশি আসন ফাঁকা পড়ে রয়েছে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেই বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। তবে যাদবপুরের মতো নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথমে আগ্রহ প্রকাশ করেও অনেকে শেষ পর্যন্ত ভর্তি না-হওয়ায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।