—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের কলেজগুলিতে আজ, মঙ্গলবার থেকে স্নাতকস্তরের প্রথম সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হতে চলেছে। তবে একাধিক বার ভর্তির পোর্টাল খুলেও কলেজে কলেজে ভর্তির হার বেশ কম।
উচ্চশিক্ষা দফতরের ভর্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ বার প্রথমেই বলে দেওয়া হয়েছিল, প্রথম দফায় ভর্তি প্রক্রিয়ার পরে যদি আসন ফাঁকা পড়ে থাকে, তা হলে আরও দু’বার কলেজগুলি পোর্টাল খুলতে পারবে। সেই ক্ষেত্রে ভর্তি প্রক্রিয়া ৩১ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে।
চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে স্নাতকস্তরে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারী চার বছরের অনার্স ডিগ্রি কোর্স চালু হয়েছে। সঙ্গে চালু হয়েছে তিন বছরের ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি জেনারেল কোর্স’। আগেই দেখা গিয়েছিল, চার বছরের অনার্স কোর্সের তুলনায় তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ভর্তির আবেদন বেশি পড়েছে। প্রথম দফায় অধিকাংশ কলেজে অনার্সের সেই অল্প আবেদনের মধ্যে ভর্তি হয়েছিল তুলনামূলক কম। সামনের সারির কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বাদ দিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই ভর্তির স্বল্পতা চোখে পড়ছে। শিক্ষা মহলের একাংশের বক্তব্য, কলেজে পড়ে চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কায় এই অবস্থা। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকতার ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকায় হতাশ অনেকেই।
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি সোমবার জানান, তাঁদের কলেজে দ্বিতীয় দফায় পোর্টাল চালুর পরে মোট ২২৬০ আসনের মধ্যে ১৩০০টি পূরণ হয়েছে। প্রথম বার ভরেছিল পাঁচশোর কিছু বেশি। ভর্তি আরও কিছু হলে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্লাস শুরু করতে চাইছেন তাঁরা। ক্যানিং বঙ্কিম সরদার কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, দ্বিতীয় দফায় ভর্তির পরে তাঁদের কলেজে ১২৩৬ আসনের মধ্যে পূরণ হয়েছে ৭৯৫টি আসন।
হাওড়ার উলুবেড়িয়া কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস পাল জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফায় পোর্টাল খোলার পরেও তাঁদের কলেজে মোট ৫৩৪৪ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৩৪১৫ জন। মঙ্গলবার ক্লাস শুরুর পরে পরিস্থিতি বুঝে আরও এক বার পোর্টাল খোলা হতে পারে। নিউ আলিপুর কলেজে দ্বিতীয় দফায় ভর্তির পরে ২৮০০ আসনের মধ্যে মোট ১২২০টি আসন ভরেছে। তবে বাঘাযতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ চন্দন জানা জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে এখনও পর্যন্ত তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ৭৬.৬% ভর্তি হয়েছে। চার বছরের অনার্স কোর্সে ভর্তির হার ৬৯.৫%। তাঁরা কয়েকটি বিষয়ে ভর্তির জন্য পোর্টাল খুলেছিলেন। এখনও মেধা তালিকা সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে আর পোর্টাল খোলার কথা তাঁরা ভাবছেন না। হাওড়ার পাঁচলা কলেজের অধ্যক্ষ অর্পিতা মণ্ডল জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফার ভর্তি প্রক্রিয়ার পরে মোট ৬০০ আসনের মধ্যে পূরণ হয়েছে ৩০০টি আসন।