বৃষ্টি থামলেও জলবন্দি কয়েক হাজার

স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সোনাগাঁ এলাকায় বাড়ির সামনে আলো জ্বালতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বংশীবদন সাহা (৭১) নামে এক বৃদ্ধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৯ ০১:৫৯
Share:

ছবি পিটিআই।

এক বছর ধরে রাস্তা তৈরির কাজ চলায় আশপাশের এলাকার জল এসে জমছিল এক জায়গায়। সেই জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আর গত শুক্র ও শনিবারের টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেল বারুইপুর, রাজপুর-সোনারপুর, বজবজ ও মহেশতলা পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। জলবন্দি কয়েক হাজার মানুষ। এলাকার কোথাও হাঁটুজল, কোথাও জল কোমর সমান। বেশিরভাগ বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। রবিবার বৃষ্টি থামার পরেও সেই জল নামেনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের সোনাগাঁ এলাকায় বাড়ির সামনে আলো জ্বালতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান বংশীবদন সাহা (৭১) নামে এক বৃদ্ধ। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন স্ত্রী ছায়া সাহাও। ওই দম্পতির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ট্রান্সফর্মারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। স্থানীয় সুভাষগ্রাম ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বংশীবদনবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর আগে শুক্রবার রাতে সোনারপুরের বৈকুন্ঠপুরে জমা জলে ছিঁড়ে পড়েছিল বিদ্যুতের তার। রাতে সেই জলে পা দিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান পিন্টু নস্কর (২৬) নামে এক যুবক।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একে চতুর্দিক ভাসছে। তার উপরে র নিকাশি ব্যবস্থার হাল কহতব্য নয়। বুজে গিয়েছে অধিকাংশ নর্দমা। যার জন্য এই ভোগান্তি। আরও অভিযোগ, এই সুযোগে চড়া ভাড়া হাঁকছেন অটো-টোটো-রিকশাচালকেরা। বাসিন্দারা বলছেন, অন্য দিনের তুলনায় অন্তত তিন-চার গুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। রবিবার সকালে বৃষ্টি থামার পরেও দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলের তলায়। সোনারপুর মোড় থেকে কামালগাজি যাওয়ার রাস্তা ডুবে আছে। সোনারপুরের বোসপুকুর কলোনি, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার মিশন পল্লি, শিমুলতলা, রাধাগোবিন্দপল্লি, পুজালি পুরসভার অধিকাংশ ওয়ার্ড জলের তলায়।

Advertisement

রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লবকান্তি দাস বলেন, ‘‘পুরকর্মীরা টানা নজরদারি চালাচ্ছেন। ১১টি পাম্প চালিয়ে জল নামানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত খালের নাব্যতা কমে যাওয়ায় জল বেরোতে পারছে না। সমস্যা সমাধানে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকছে পুরসভার অফিস।’’

জল জমায় গত দু’দিন এলাকার বিভিন্ন স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল কম। অধিকাংশ স্কুল প্রার্থনা সঙ্গীতের পরে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু রোড লাগোয়া জি এস প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ঢুকে গিয়েছে জল। সেখানকার প্রধান শিক্ষক দেবাশিস নাথ বলেন, ‘‘সোমবার স্কুলে পরীক্ষা। কিন্তু যে ভাবে জল জমে রয়েছে, তাতে পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না সন্দেহ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement