মণীশ শুক্ল। ছবি সংগৃহীত।
টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় ধৃতদের মুখোমুখি বসিয়ে শুক্রবার জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। সেই জেরা থেকে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে দাবি সিআইডি-র। এ দিন তদন্তের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠকও করেন সিআইডি কর্তারা।
শুক্রবার রাত পর্যন্ত ভাড়াটে খুনিদের নাগাল পায়নি সিআইডি। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখোমুখি জেরায় বেরিয়ে এসেছে, ভাড়াটে খুনিরা ভিন্ রাজ্যের। ঘটনার রাতেই তারা রাজ্য ছাড়ে। তদন্তকারীরা বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের দাগী দুষ্কৃতী এবং ‘শার্প শুটার’দের সন্ধান চালাচ্ছে। সম্প্রতি তেমন কেউ জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। সিআইডি-র সূত্রের দাবি, ভাড়াটে খুনিদের বিষয়ে বিশদ তথ্য খুররম বা সুবোধের কাছেও নেই। পুরো ঘটনায় আরও বড় মাথা আছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা।
ধৃত সুবোধ রায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কার্বাইনটি পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। মণীশের শরীর থেকে যে বুলেট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি ওই আগ্নেয়াস্ত্রের কি না, তা-ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবোধই বাজেয়াপ্ত হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং বাইকগুলি যোগাড় করেছিল। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, বাইকগুলির নম্বর প্লেট বদলানো হয়েছে। মণীশ খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে টিটাগড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে বিজেপি। সেব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। তার আগেই যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের অনুমতি দেন, তা হলে বুঝব, উনি সৎ।” টিটাগড়ে শান্তি মিছিল করবে তৃণমূলও।