—প্রতীকী চিত্র।
মুম্বই কিংবা দিল্লির মতো শহরে সম্ভ্রান্ত পরিবারে পরিচারিকার কাজের টোপ দিয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করিয়ে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশি মহিলাদের। মাত্র ১০-১২ হাজার টাকার বিনিময়ে ভারতীয় দালালদের কাছে তাঁদের বিক্রি করে দেওয়া হয়। দেহ ব্যবসার কাজে নামতে বাধ্য করা হয় অনেক মহিলাকে। নদিয়ার ভীমপুর থানা এলাকা থেকে ধৃত মানিক বিশ্বাসকে জেরা করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে বলে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্তকারীদের ওই সূত্রে দাবি, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে গজিয়ে ওঠা একাধিক হোটেলে দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হতে ওই মহিলাদের। খদ্দের খোঁজা থেকে শুরু করে সময় মতো তাঁদের হোটেলে পাঠানো—সব দায়িত্ব সামলাত ‘মানিক চক্র’।
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর কমিশনারেটেরে ঘোলা থানা এলাকা থেকে খদ্দের সেজে ভীমপুর থানার পুলিশ মানিককে গ্রেফতার করে। মানিককে হেফাজতে নিয়ে গত চার দিন ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কত দিন ধরে তিনি ওই কাজ করছে, আর কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, কী ভাবে মহিলাদের দেহ ব্যবসার কাজে নামানো হত, এ রকম একাধিক প্রশ্ন নিয়ে জেরা শুরু করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কিছু তথ্যও মিলেছে। ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, বাংলাদেশি মহিলাদের এ পারে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করতেন কয়েক জন পাচারকারী। সীমান্ত এলাকার কয়েকটি গ্রামে তাঁদের গোপন ডেরাও রয়েছে।
কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ বলেন, ‘‘ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মানব পাচারচক্র সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগের তদন্ত চলছে। বেশ কিছু সন্দেহভাজন আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’