Manik Bhattacharya

পুলিশের গাড়িতেই আহত মানিক, বুকে ও মুখে আঘাত, আদালত থেকে জেলের পথে বিপত্তি

মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের মামলার শুনানি ছিল। সেখান থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পলাশিপাড়ার বিধায়ককে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৫
Share:

দুর্ঘটনায় জখম মানিক ভট্টাচার্য। ফাইল চিত্র।

আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে। পথে আচমকা বিপদ। পুলিশের গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় পড়ে গেলেন বিধায়ক। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মুখে এবং বুকে চোটও পেয়েছেন মানিক।

Advertisement

মঙ্গলবার এই ঘটনার কিছু ক্ষণ আগেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন মানিক। সেখানে তাঁকে কিছুটা মেজাজ হারাতেও দেখা যায়। সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘আমার লন্ডনে বাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বাড়ি নেই।’’ তার পর আদালত চত্বর থেকেই তাঁকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি রওনা হয় জেলের উদ্দেশে। তবে জেলে ঢোকার আগেই ঘটে বিপত্তি। পুলিশের গাড়িটি আচমকা ব্রেক কষায় ধাক্কা লাগে মানিকের। আঘাতও পান পলাশিপাড়ার বিধায়ক।

মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি ছিল মানিকের। স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। এমনকি বিচারক এজলাস ছেড়ে বেরোনোর পর, তাঁর হতাশার কথাও জানান। মানিক বলেছিলেন, ‘‘আর কত জ্বলব আমি। আমার সামাজিক সম্মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’’ পরে তাঁর লন্ডনের বাড়ি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দেন। বলেন, ‘‘লন্ডনে যদি আমার বাড়ি থাকে তবে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হোক।’’ এর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে আদালত থেকে বেরিয়ে যান পলাশিপাড়ার বিধায়ক। পুলিশের গাড়িতেই জেলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ঘটনাটি ঘটে তখনই পুলিশের গাড়ির ভিতরে আহত হন মানিক।

Advertisement

(এই খবরটি সবেমাত্র দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত খবরটি কিছু ক্ষণের মধ্যেই আসছে। অপেক্ষা করুন।পাতাটি কিছু ক্ষণ পর পর রিফ্রেশ করুন। আপডেটেড খবরটি আপনি দেখতে পাবেন।অতি দ্রুততার সঙ্গে আপনার কাছে খবর পৌঁছে দেওয়ার সময়েও আমরা খবরের সত্যাসত্য সম্পর্কে সচেতন। সেই জন্যই যে কোনও ‘খবর’ পাওয়ার পর, তার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই আমরা তা প্রকাশ করি। ফেক নিউজ বা ভুয়ো খবরের রমরমার সময়ে এটা আরও বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement