কালীগঞ্জের ঘোড়াইক্ষেত্র গ্রামে পাড়ার পুজোয় মানিক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক মাসে তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। হাই কোর্টের নির্দেশে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত। কখনও তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কখনও তাঁকে ‘খুঁজে পায় না’ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি। তার পরই তিনি সংবাদমাধ্যমকে ফোনে ‘ধরা দেন’। বাড়ির বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। পরে বিধানসভাতেও। সেই পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে অষ্টমীর দিন দেখা গেল নদিয়ার কালীগঞ্জের ঘোড়াইক্ষেত্রে, গ্রামের পুজোয়।মানিক প্রতি বছরই নিজের গ্রামের পুজোয় যোগ দেন। তবে এই বছর পুজোয় ছবিটা ভিন্ন। গ্রামে এলেন, অঞ্জলিও দিলেন ঠিকই, তবে রইলেন সামান্য সময়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার, অষ্টমীর সকালে তিনি গ্রামে আসেন। গরদের কাপড় পরে প্রতি বছরের মতো তিনি পাড়ার মণ্ডপে অঞ্জলি দেন। মানিক বেশ কিছু ক্ষণ সময়ও কাটান মণ্ডপে। তার পর ভোগ খেয়ে বাড়ি ফিরে যান। বাড়ি থেকেও তিনি দুপুরের পর বেরিয়ে যান।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য বছর মানিক ভট্টাচার্য সপ্তমীর দিন গ্রামে আসতেন। চার দিন গ্রামেই থাকতেন। গ্রাম থেকেই তিনি নানা জায়গায় ও তাঁর বিধানসভা এলাকায় ঘুরতেন। ওই চার দিন তাঁর বাড়িতে প্রচুর লোকজন আসত। বাড়িতেও প্রচুর পাতও পড়ত। তবে এ বছর সে সবের কিছুই দেখা যাইনি। এই বিষয়ে মানিকের ভাই পান্নালাল ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ফোন করা হলে তিনি তোলেননি।