প্রতীকী ছবি
ছেলের হাতে ‘ভেঙেছে’ পড়শির মোবাইল ফোন। সেই অভিযোগে তার বাবাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুরের স্কুলপাড়া এলাকায়। রবিবার কালিয়াচক থানায় প্রতিবেশী পাঁচ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম আলিমুল শেখ (৩০)। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে বাক্কার মোল্লা এবং তাঁর পরিবারের আরও চার জনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘শিশুদের বিবাদে জড়িয়ে যান বাড়ির অন্যান্য সদস্যেরাও। তার জেরেই খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রামপঞ্চায়েতের স্কুলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলিমুল। শনিবার বিকেলে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে প্রতিবেশী বাক্কার মোল্লার নাতির সঙ্গে মোবাইল ফোন নিয়ে খেলা করছিল। মোবাইল ফোনটি বাক্কারদের বলে দাবি স্থানীয়দের। জানা গিয়েছে, দুই শিশু মোবাইল নিয়ে খেলার সময় ফোনটি পড়ে ভেঙে যায়। আলিমুলের ছেলেই ফোন ভেঙেছে বলে অভিযোগ তুলে দু’টি বাড়ির লোকেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। দুই বাড়ির মহিলাদের মধ্যে হাতাহাতিও হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তখনকার মতো বিবাদ থেমে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ ফের দু’পক্ষে গোলমাল শুরু হয়। অভিযোগ, বাক্কার মোল্লা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা আলিমুলকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। হইচই পড়ে যায় গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পরিবারের লোকেরা সেখানে গেলে অভিযুক্তেরা পালায়। আলিমুলকে নিয়ে যাওয়া হয় সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আলিমুলের দাদা মহম্মদ অহেদ শেখ বলেন, ‘‘বাচ্চারা খেলতে খেলতে মোবাইল ভেঙে গিয়েছিল। সামান্য কারণে ভাইকে পিটিয়ে খুন করা হল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।