Crime News

‘মেরে ফেললাম’! বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে আরামবাগ থানায় হাজির যুবক, পরকীয়ার জের?

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ দাস। বছর ১৫ আগে ঋতু দাসকে বিয়ে করেন তিনি। দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। শনিবার রাতে ঋতুকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন স্বামী অভিজিৎ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ যুবকের। ঠান্ডা মাথায় জানালেন স্ত্রীকে খুনের কথা। স্বীকারোক্তি শোনার পর যুবকের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। হুগলির আরামবাগ থানার সালেপুরের দাসপাড়া এলাকার ঘটনা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ দাস। বছর ১৫ আগে ঋতু দাসকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। শনিবার রাতে অভিজিৎ স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের আরও খবর, রবিবার সকালে আরামবাগ থানায় হাজির হন অভিজিৎ। পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, তিনি স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন। যুবকের ওই স্বীকারোক্তি শুনে চমকে যায় পুলিশ। তারা অভিজিতের বাড়িতে যায়। দেখা যায়, সত্যিই বিছানায় এক বধূর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিজিৎ দাসের বিয়ে হয় প্রায় ১৫ বছর আগে। তাঁদের দুই সন্তান। অভিজিতের মায়ের দাবি, বৌমা পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। তা নিয়ে ছেলের সঙ্গে অশান্তি হত।’’

অভিজিৎ একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। তবে তখনই তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন কি না স্পষ্ট নয়। মৃতার বড় ছেলেও জানিয়েছেন, মা-বাবার ঝগড়া হয়েছিল রাতে। তবে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর কিছু জানে না। বালকের কথায়, ‘‘সকালে দেখি, মা বিছানা থেকে উঠছে না। বাবা-ও ঘরে নেই।’’

Advertisement

অন্য দিকে, মৃতার বাবা গুরুপদ নন্দী বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। মেয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিন কোনও সম্পর্ক নেই। আজ আমাকে থানা থেকে ফোন করেছিল। পুলিশ জানায় যে, আমার মেয়েকে নাকি জামাই খুন করেছে। জামাইয়ের এর আগেও এক বার বিয়ে হয়েছিল।’’

ইতিমধ্যে মৃতার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement