—প্রতীকী ছবি।
আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার প্রতারকের সঙ্গে মিলল চিনা-যোগ। অভিযোগ, টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে লগ্নি করলে বিপুল টাকা মিলবে, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওয়াটগঞ্জের এক ব্যক্তির কাছ থেকে সুবীর দাস ধাপে ধাপে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ওড়িশার বাসিন্দা, বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সুবীরকে। ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল। পুলিশি হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার সুবীরকে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশের দাবি, হাতিয়ে নেওয়া ওই টাকা চিনা ওয়ালেটে অ্যাকাউন্ট খুলে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদলে ফেলেন সুবীর। এই রকম ১৭টি অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সুবীরের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল, ট্যাব-সহ ১৮টি যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এই প্রথম নয়, এর আগেও এক জনের কাছ থেকে একই কায়দায় প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বদলে ফেলেছিলেন সুবীর। তখন ত্রিপুরা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে বার ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য সুবীরকে ত্রিপুরার আদালতে তোলা হলে আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে দু’দিনের মধ্যে কলকাতার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। পুলিশের অভিযোগ, জামিন পেয়ে পালিয়ে যান সুবীর। পরে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান তিনি। তাঁর সেই আর্জি খারিজ করে আদালত। সেই থেকে সুবীরকে খুঁজছিল পুলিশ।
নতুন করে আবার ৭০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে তদন্তে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জেরা করে উঠে আসে সুবীরের নাম। এ দিন দু’টি মামলায় সুবীরকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি এবং জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।