—প্রতীকী চিত্র।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজছিলেন যুবক। এমন সময়েই আচমকাই বাড়ির উঠোনে হাজির জনা পাঁচেক লোক। হাতে পিস্তল। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে কিছু বোঝার আগেই যুবককে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি! যুবক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম বাবর আলি। তাঁর বুকে গুলি লাগে। বাবরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোক ও স্থানীয়েরা তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্থানীয়দের দাবি, বাবরের বাড়িতে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা ভগবানগোলা ১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ গোলাপ শেখ। তাঁর নেতৃত্বেই বাড়িতে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, গোলাপের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘কে গুলি চালিয়েছে, সেটা তদন্তে প্রমাণিত হবে। যদি কর্মাধ্যক্ষ যুক্ত থাকে, তবে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা হবে। জেলা পুলিশের প্রতি আমরা আস্থাশীল। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হবে।’’
পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার ৯টা নাগাদ নিজের ডাঙাপাড়ার বাড়িতে দাঁত মাজছিলেন বাবর। সেই সময়ে বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, বাবরকে দেখামাত্রই তাঁর বুকে পর পর তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেন গোলাপ। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা কালাম বিশ্বাস বলেন, ‘‘বাবরের সঙ্গে চা খাওয়া নিয়ে গোলামের কয়েক দিন আগে গন্ডগোল হয়েছিল। তার প্রতিশোধ নিতে বাবরকে গুলি করা হয়। গোলাপ নিজেই গুলি চালিয়েছে।’’ ভগবানগোলার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক মহাত্তাসিন আখতার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই তিন-চার জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’