—প্রতীকী চিত্র।
এ বার বিধাননগরের রাজারহাটেও সালিশি সভার নামে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। নাম জড়াল সেই শাসকদল তৃণমূলের এক নেতার। সেই নেতা অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, অভিযোগকারী বিজেপির সমর্থক। তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করতেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
সোমবার রাজারহাট থানায় অভিযোগ দায়ের অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন গৌতম সরকার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর বাড়িতে এক দল লোক আসে। সালিশি সভার নাম করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজারহাট-বিষ্ণুপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পার্টি অফিসে। সেখানে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মুখে-বুকে-পেটে ঘুষি মারা, মাথা ঠুকে দেওয়া হয় দেওয়ালে! আর যাঁর নেতৃত্বে এ কাজ করা হয়েছে, তিনি রাজারহাট-বিষ্ণুপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রক্তিম কর।
গৌতম জানান, তিনি এক বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থায় কাজ করেন। এক ব্যক্তি তাঁর সংস্থার কাজ থেকে টাকা পান। মালিকের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়টির মীমাংসাও হচ্ছিল। তার মধ্যেই ওই ব্যক্তি রক্তিমের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের কারণে তাঁকে ‘সালিশি সভা’য় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর উপর অত্যাচার চলে। তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। গৌতম বলেন, ‘‘বাবার অন্ত্যেষ্টি সেরে সবে ফিরেছি। তার পরেই বাড়িতে দলবল পাঠিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে তৃণমূল নেতা। আমি যাতে অত্যাচারের ভিডিয়ো না করতে পারি, তার জন্য আমার মোবাইলটাও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’’
সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রক্তিম। তিনি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। কেউ মারধর করেনি। একটা গরিব ছেলে আমাকে এসে বলেছিল, ও গৌতম সরকার নামে লোকটার অফিসের সঙ্গে কিছু কাজ করেছে। ওদের কাছ থেকে কিছু টাকাপয়সা পায়। কিন্তু টাকাটা ওকে দেওয়া হচ্ছিল না। সেই জন্যই গৌতম সরকারকে একবার ডাকা হয়েছিল পার্টি অফিসে। আমরা বসে কথা বলি। মালিকের সঙ্গেও কথা হয়। সব মিটমাট হয়ে গিয়েছিল তো! শুনেছি, গৌতম সরকার বিজেপি করে। আমাদের কালিমালিপ্ত করতেই এ সব অভিযোগ করছে ও।’’
পার্টি অফিসে ডেকে মারধরের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধছে বিজেপি। দলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ‘‘সব জায়গাতেই তো হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল সব মিলেমিশে একাকার ’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘পুলিশে যখন অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তখন পুলিশ যা করার করবে। পুলিশ নিজের মতো ব্যবস্থা নেবে।’’