কেন্দ্রীয় সরকারের জমি বিলের বিরুদ্ধে পথে নেমেই কার্যত পুরভোটের প্রচারে পা মেলাবেন তিনি। তার দু’দিনের মধ্যে শহরে আনুষ্ঠানিক প্রচারেও দেখা যাবে তাঁকে। এবং এ বার শহরে পুরভোটের প্রচারের সূচনার জন্য উত্তর কলকাতাকেই বেছে নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমি বিল বা অধ্যাদেশের প্রতিবাদে আগামী বুধবার মৌলালি থেকে ময়দানে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত তৃণমূলের মিছিলে হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই কর্মসূচিকে পুরভোটের প্রচার হিসাবে ধরছেন না। তার পরে ১০ এপ্রিল, শুক্রবার শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক প্রচার। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই দিন উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এবং পরে বড়বাজার এলাকায় আরও একটি সভা করার কথা মমতার। দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী কবে পথে নামবেন, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘দক্ষিণ কলকাতা তো আরও বেশি করে ঘরের মাঠ! সেখানে পরে নামলেও চলবে।’’
তৃণমূলেরই একটি সূত্রের অবশ্য ব্যাখ্যা, গত বছর লোকসভা ভোটে কলকাতা শহরের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল বিজেপি। উত্তর কলকাতায় বড়বাজার, জোড়াসাঁকোর মতো এলাকা তো বটেই, দক্ষিণে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরেও সামান্য ভোটে এগিয়েছিল গেরুয়া বাহিনী। এ বার প্রার্থ়়ী ঠিক করা নিয়ে গোলমাল-সহ অন্তর্দলীয় কোন্দলে বিজেপি আপাতদৃষ্টিতে জেরবার হলেও তাদের স্বাভাবিক প্রভাবের এলাকাকেই পুরভোটের প্রচারে আগে গুরুত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। দলের এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, ‘‘দক্ষিণ কলকাতাতেও দলনেত্রী অবশ্যই পদযাত্রা বা সভা করবেন। তবে দক্ষিণের ওয়ার্ডগুলির জন্য একাধিক ওজনদার নেতা-মন্ত্রী আছেন। সেখানে প্রচারের শেষ সপ্তাহে দলনেত্রীকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কোনও কর্মসূচি করা যেতে পারে।’’