তাঁদের দলনেত্রী জোট করতে সিপিএমকে আহ্বান জানাননি বলে সোমবার নির্বাচনী জনসভা থেকে দাবি করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়।
উপনির্বাচনের প্রচার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে এ দিন চৌরঙ্গি বিধানসভার অর্ন্তগত বউবাজারের লেবুতলায় কেন্দ্রীয় ভাবে আয়োজিত জনসভা দিয়েই শাসক দলের প্রচার গতি পেল। সেই সভাতেই মুকুলবাবু বলেন, “আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এসইউসি-র সঙ্গে জোট ছিল। তিনি এক বারের জন্যও বলেননি সিপিএমের সঙ্গে জোট করতে চাই!” কয়েক দিন আগে একটি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাবেই তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, রাজনীতিতে কেউ অচ্ছুৎ নয়। প্রস্তাব এলে তাঁরা দলে আলোচনা করতে পারেন। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধায় বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূলের অন্য নেতারা দলনেত্রীর বক্তব্যের ভিন্ন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।
এ দিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বউবাজার এলাকা সরগরম ছিল চৌরঙ্গির বিভিন্ন প্রার্থীর মিছিল ও প্রচারে। তবে সন্ধ্যায় লেবুতলায় তৃণমূলের জনসভা বিরোধী দলগুলির প্রচার-মিছিলের তুলনায় ধারে-ভারে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। ওই সভায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সোনালি গুহ যেমন ছিলেন, তেমনই লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তা ছিলেন।
তাঁর স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী। বৃষ্টি এবং যানজটের মধ্যে এ দিন চৌরঙ্গির বিজেপি প্রার্থী রীতেশ তিওয়ারির সমর্থনে দলের যুব মোর্চা মিছিল করে। শেষ মুহূর্তে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ বাবুল। মিছিলে সামিল নেতা ও কর্মী-সমর্থকেরা ততক্ষণে ভিজে গেলেও বাবুলের ছবি তোলার উৎসাহ অবশ্য কমেনি।