মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে দিল্লি দেখুন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, জহাঙ্গিরপুরীতে কী হচ্ছে সেটা ওঁর দেখা উচিত। বাংলা সম্পর্কে বাজে কথা বলা ওঁর শোভা পায় না।
রোজকার মিথ্যাচারকে আমি ভ্রষ্টাচার মনে করি। রোজ মিথ্যা কথা বলাটা অন্যায়, অপরাধ। আর একই কথা বার বার বলে যাওয়া, হিজ মাস্টার্স ভয়েস, তোতাপাখির বুলি। একই কথা বার বার বলে যাওয়া। এটা মিথ্যাচারের ভ্রষ্টাচার।
পাবলিকের পকেট থেকে যে মানিট কাটা হচ্ছে, সেটা কাটমানি না ছাঁটমানি। প্রতি দিন পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ছে, ওষুধের দাম বাড়ছে। গ্যাসের দাম বাড়ছে। এটাও তো মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। সেই টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? ১৭ লক্ষ কোটি টাকা। এটা কি মানি? পকেট কাটলে কী বলা হয় পকেটমার? কাটমানির সংজ্ঞা কী? তিনি আগে নিজেদের দিকে তাকান। মুর্শিদাবাদের খাতা খুললেই বুঝতে পারবেন গ্যাস, চাকরি আর পেট্রল পাম্পে পাইয়ে দেব নিয়ে কত হয়েছে।
সরকার ৫ মে থেকে ১০মে এই একমাস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছবে। পশ্চিম মেদিনীপুর যাব ১০ মে। সেখানে একটা প্রশাসনিক বৈঠক হবে। ১১ মে বেলা ১২টায় একটি দলীয় বৈঠক করব। এর পর ঝাড়গ্রামে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করব। ১২ মে বেলা ১২টায় ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠক করব। তার পর কলকাতায় ফিরে আসব।
বাংলা উন্নয়নের পথে। মানুষের সঙ্গে। মানুষের সঙ্গে থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে। যে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না, কেন পাচ্ছেন না, তার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে। পঞ্চায়েত স্তরে আরও বেশি কাজ করতে হবে। পুরসভায় আরও কাজ করতে হবে।
আমাদের প্রতি যেন মা মাটি মানুষের ভরসা অটুট থাকে। আমরা তাঁদের ভরসা করি। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। কিন্তু কাজের সুযোগ যেন ঠিক মতো পাই। কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেবেন। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। যদি কোনও ক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে আমরা ভুল করে থাকি, কারও খারাপ লেগে থাকলে, আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।