Alapan Bandyopadhyay

WB Politics: আলাপনকে ছাড়ছে না রাজ্য, মোদীকে চিঠি মমতার, কেন্দ্রের নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি

‘রাজ্য কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় মুখ্যসচিবকে ছাড়া সম্ভব নয়’। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখলেন মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২১ ১০:১৫
Share:

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ছে না রাজ্য সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়ছে না রাজ্য সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি কেন্দ্রের নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপনকে দিল্লিতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু আলাপনকে ছাড়ছে না রাজ্য।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। অভূতপূর্ব এই পদক্ষেপে অবাক হয়েছি’। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রাজ্যের অনুরোধে কিছু দিন আগেই আরও ৩ মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে আলাপনের চাকরির মেয়াদ। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিবের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। তাই রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে এই মুহূর্তে কেন্দ্রের এই নির্দেশ প্রত্যাহার করার আর্জি জানাচ্ছি’। একই সঙ্গে মমতা লেখেন, ‘রাজ্য কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই সময় কোনও মতেই মুখ্যসচিবকে ছাড়া সম্ভব নয়’।

মমতা লেখেন, ‘এই নির্দেশিকা ১৯৫৪ সালের ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ (ক্যাডার) নিয়মের পরিপন্থী। এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিকও বটে। আমি আশা করছি আপনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কোনও ক্ষতি চাইবেন না। আমি এটাও আশা করছি, বিভিন্ন রাজ্যে যে সব আমলারা কাজ করেন তাঁদের মনোবল তলানিতে চলে যায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত আপনি নেবেন না। আমি বুঝতে পারছি না, কিছু দিন আগে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছিল এবং সেই সিদ্ধান্তের কথা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই হয়েছিল। তার পর কী এমন হল যাতে সেই সিদ্ধান্ত বদলে গেল। যে একতরফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে আলাপনকে কেন বদলি করা হল তার কোনও কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।

Advertisement

চিঠিতে কলাইকুন্ডার প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন মমতা। তিনি লেখেন, ‘২৮ মে কলাইকুন্ডার বৈঠকের পরেই কি এই সিদ্ধান্ত হয়েছে? যদিও আমি বিশ্বাস করি কলাইকুন্ডার বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি সেটা হয় থেকে তাহলে তা হবে খুবই দুঃখজনক, অনভিপ্রেত। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভুল বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং এর ফলে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হবে’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement