পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরী সফররত মমতা বুধবার জানিয়েছেন, এ সৌজন্য সাক্ষাৎ। আগে একবার নবীন তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে বার যাওয়া হয়নি। তাই এ বার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন তিনি। তবে সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে দুই দল-প্রধানের সাক্ষাতের দিকে নজর সকলের।
মঙ্গলবার পুরীতে এসেছেন মমতা। এখানে বাংলার পর্যটকদের জন্য একটি অতিথিশালা বানাবে পশ্চিমবঙ্গ। পুরীর নির্মীয়মাণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ওড়িশা সরকারের দেওয়া সেই জমি দেখে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘বছরের বিভিন্ন সময়ে বাংলা থেকে বহু মানুষ পুরীতে আসেন। তাঁদের সুবিধার কথা ভেবেই ‘বাংলা আবাস’ নামে এই বাড়ি তৈরি করছে রাজ্য। দুই রাজ্যের সংস্কৃতি বিনিময়ের কাজ করবে এই বাড়িটি।’’ ওড়িশার মুখ্যসচিব প্রদীপকুমার জেনা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক নিজে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর চাহিদামতো বঙ্গভবনের জন্য জমি অর্পণ করবেন। তার আগে মমতাজিকে জমিটি দেখানো হয়। ওই জমিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজেরাই অতিথিশালা তৈরি করে তার রক্ষণাবেক্ষণ করবে।’’ জমি দেখে খুশি মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওড়িয়া মে কহন্তি লেকিন হামারা ভুলভাল হো জায়গা।’’ তার পর অবশ্য সেই মেজাজেই তিনি বলেন, ‘‘জমি দেখন্তি। পছন্দ হয়ন্তি। কাল হম নবীনজিকে সাথ মিলুন্তি।’’
এ দিন পুজো দিতে জগন্নাথ মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের জন্য পুজো দিয়েছি। আমি চাই সকলে ভাল থাক। সুখে থাক। জীবনে আনন্দ আসুক।’’ সেখানেই মন্দিরের ধ্বজা নামিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াও দেখেন তিনি। মন্দিরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে জগন্নাথের একটি মূর্তি উপহার দেওয়া হয়। মন্দিরের প্রবীণ সেবায়েত তথা বড়গ্রাহী জগন্নাথ দয়িতাপতি বলেন, ‘‘মমতাদিদি এক ঘণ্টা ধরে জগন্নাথদেবের শ্রীবিগ্রহ দর্শন ছাড়াও বিমলা মন্দির, লক্ষ্মী মন্দির, নবগ্রহ মন্দির দর্শন ও পরিক্রমা করেন। মন্দিরে পুজো দেওয়া ছাড়াও ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়েছেন মমতা।’’
মুখ্যমন্ত্রীর পুরীতে পুজো দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য সামনে আসার পর জগন্নাথ দেবও আর ঝুঁকি নিতে চাইবেন না।