Mamata Banerjee

দরকার ছাড়া বাইরে নয়, বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজনের মধ্যেই মমতার সিত্রাং-সতর্কতা

বাড়িতে কালীপুজোর আয়োজন চলছে। তারই মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না যাওয়ার জন্য রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৪৮
Share:

পুজোর আয়োজনের মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করলে মমতা। নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব বাংলাদেশে বেশি পড়লেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতি বছরের মতো তাঁর বাড়িতে এ বারও কালীপুজোর আয়োজন। নিজেই ভোগ রান্না করেছেন মমতা। তার মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করে যে সব এলাকায় আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ সেখানে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর জন্য রাজ্যবাসীকে সতর্ক করলেন তিনি। মমতা বলেন, ‘‘সকলে কালীপুজো ও দীপাবলির আনন্দ করুন। কিন্তু খুব দরকার না পড়লে বাড়িতে থাকাই ভাল। কারণ, কখন কী হয় সবটা বলা যায় না।’’

Advertisement

আবহাওয়া দফতর যা জানিয়েছে তাতে, ঘূর্ণিঝড়টি সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সাগরদ্বীপ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। আবহবিদদের অনুমান মিললে মঙ্গলবার ভোরেই ঘূর্ণিঝড়টি দুই ২৪ পরগনাকে ছুঁয়ে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ উপকূলে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের বরিশাল থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সিত্রাং। মমতাও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের বরিশালে মূল ঘূর্ণিঝড় হবে। রাত ১২টা নাগাদ আছড়ে পড়ার কথা। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে আবহাওয়া আরও খারাপ হতে পারে।’’

বাড়ির পুজোয় ভোগ রান্নাতেও হাত লাগিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড় হলে তার বড় ঝাপটা লাগতে পারে দুই ২৪ পরগনায়। আপাতত ঝড়ের যা মতিগতি, তাতে গত কয়েক ঘণ্টায় তার গতি বেড়েছে বলেই আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। সকালে প্রতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল সিত্রাং। দুপুরে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার গতি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। দুপুর তিনটে নাগাদ পাওয়া খবর অনুযায়ী সেটি প্রতি ঘণ্টায় ৩১ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে।

Advertisement

রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো উপকূলবর্তী অঞ্চল তো আছেই, কালীপুজোর দিন সকাল থেকে হাওড়া, কলকাতাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলছে। মমতা জানিয়েছেন, সুন্দরবন ও সাগর এলাকায় বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি আবেদন করেছেন যাকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে কেউ আশ্রয়শিবির ছেড়ে বাড়িতে চলে না যান। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, বাড়ির পুজোর আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তিনি নিয়মিত দুর্যোগ পরিস্থিতির খোঁজ খবর রাখছেন। বার বার ফোন করে খবর নিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছ থেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement