ছাদ ভেঙে পড়ার পর বৈশাখির পুরনো বাজার। নিজস্ব চিত্র।
ঝড় এখনও উপকূলে এসে পৌঁছয়নি। তার আগেই ঝোড়ো হাওয়ায় সল্টলেকে ভেঙে পড়েছে অস্থায়ী বাজারের ছাদ। ভিতরে তখন ছিলেন বেশ কিছু দোকানি। তাঁদের কয়েকজন আহত হন। বাকিরা লাফ দিয়ে বাইরে ঝাঁপিয়ে কোনও মতে রক্ষা পান দুর্ঘটনার হাত থেকে।
ঘটনাটি ঘটে বিধাননগর মহকুমার বৈশাখির পুরনো বাজারে। এই বাজারের দোকানগুলির অস্থায়ী অ্যাসবেস্টস এবং লোহার কাঠামোর ছাদের দুরবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সম্ভাব্য বিপদের কথা জানিয়ে সুরাহাও চেয়েছিলেন। সোমবার সকালে বাজারের যে অংশটির ছাদ ভেঙে পড়ে সেটি মাছের দোকানিদের চত্বর ছিল। বাজারের সম্পাদক জানিয়েছেন, দোকানিরা সবাই ধারালো বঁটি সামনে নিয়ে বসেছিলেন। আচমকাই ছাদ ভেঙে পড়ে। কেউ কেউ লাফিয়ে বেঁচে যান। বাকিরা জখম হন। তবে ঘটনাটি একদিন আগে ঘটলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ রবিবার বাজারে ভিড় থাকে অনেক বেশি। সোমবার ঝড়ে পূর্বাভাসের জন্য দুর্ঘটনার সময় ক্রেতারা খুবই কম সংখ্যায় ছিলেন বাজারে।
সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাঙের প্রভাবেই হঠাৎ দমকা হাওয়া চলতে শুরু করে কলকাতা এবং সংলগ্ন বহু এলাকায়। সেই হাওয়াতেই দুর্ঘটনা ঘটে পুরনো বাজারে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সিত্রাং আসার আগেই যদি এই অবস্থা হয়, তবে ঝড় কলকাতায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইলে নির্ঘাৎ বাকি অস্থায়ী দোকানগুলিরও একই অবস্থা হবে।
প্রসঙ্গত বাজারের ছাদের দুরবস্থার অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাবসায়ীদের টানা পড়েন চলছিল প্রশাসনের। বাজারের ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পাকা হলেও সেখানে তাঁদের স্থানান্তর করা হচ্ছে না।