মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল ছবি
প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার মালদহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠক ঘিরে প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সরকারি সফরের বাইরে জেলার তৃণমূলের নেতাদের নিয়েও পৃথক ভাবে বৈঠক করারও কথা রয়েছে মমতার।
দলের অন্দরমহলের খবর, লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে এসে জেলার নেতৃত্বকে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে এক হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। কিন্তু সে দাওয়াই কার্যত কাজে আসেনি। লোকসভায় জেলার দু’টি আসনেই হার হয় তৃণমূলের। তার উপরে মাসদুয়েক আগে জেলার দু’টি পুরসভার দলীয় পুরপ্রধানদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের একাংশই অনাস্থা নিয়ে এসে সেই দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দল সামলে ও দ্বন্দ্ব মেটাতে নেত্রী কী বার্তা দেন, তা জানতে প্রহর গুনছেন নেতা-কর্মীরা।
প্রায় দেড় বছর পরে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে মঙ্গলবার বিকেলে মালদহে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। সোমবার সকাল থেকে কয়েক দফায় দুর্গাকিঙ্কর সদনে গিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসকেরাও। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ও জেলা পুলিশের আধিকারিকেরাও সভাস্থলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, মহানন্দা ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
দলের জেলা নেতাদের সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে মমতার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সেই বৈঠক কোথায় হবে তা নিয়ে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, দলের তরফে দুর্গাকিঙ্কর সদন সংলগ্ন সানাউল্লাহ মঞ্চ ও মহানন্দা ভবনে ওই সভার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার রাতে এ বিষয়ে দলের জেলা কার্যালয় ‘নুর ম্যানসনে’ বৈঠকে বসেছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। তবে, কোন কোন নেতা ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তার তালিকা তৈরি করা হয়নি।
দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলনেত্রী নিজেই ঠিক করবেন কোন কোন নেতাদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের ওই বৈঠকে মালদহে বিমানবন্দর চালু, গঙ্গা ভাঙ্গনের সমস্যা-সহ বেশ কিছু বিষয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা হবে। তবে দলের অন্দরমহলের খবর, মালদহে ‘দলীয় দ্বন্দ্ব’ মেটাতে দলনেত্রী কি বার্তা দেন, সেটাই মুখ্য বিষয়।
দলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘সরকারি সফরের বাইরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাব দলনেত্রীর কাছে রেখেছিলাম। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা করা হবে। নেত্রীর দেখানো পথেই দলীয় সংগঠনকে জেলায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’