শুক্রবার তিন পুরসভার মেয়রের নাম বলতে পারেন মমতা।
আগামী শুক্রবার তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই বিধাননগর, আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভার মেয়রদের নাম ঘোষণা করে দেবেন তিনি।
শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র হচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার চার পুরভোটের ফল পরিষ্কার হতেই এ কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বাকি তিনটি পুরসভায় কাদের ভাগ্যে মেয়র পদ? এই প্রশ্নে রহস্য বহাল রেখেছেন তিনি। ওই পুরসভাগুলির চেয়ারম্যান, ডেপুটি মেয়রদের নাম নিয়েও নানা জল্পনা রয়েছে। তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ সফর থেকে ফিরে এ বিষয়ে বৈঠক ডেকে সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর বাসভবনেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন মমতা।
তৃণমূলের অন্দরমহলে বিধাননগর পুরসভা নিয়ে চর্চা সবচেয়ে বেশি। কৃষ্ণা চক্রবর্তীই কি ফের মেয়রের চেয়ারে বসতে চলেছেন? নাকি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়ে ফের তৃণমূলে ফিরে আসা সব্যসাচী দত্ত দ্বিতীয় বার মেয়রের দায়িত্বে আসবেন? ঘটনাচক্রে ভোটে জয়ের পর দু’জনই কালীঘাটে গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসেন। উভয়েই দেখা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
আসানসোল ও চন্দননগর পুরসভার মেয়র পদের জন্যও আলোচনায় রয়েছে একাধিক নাম। তৃণমূল সূত্রে খবর, আসানসোল পুরসভার মেয়র হাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অমর চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়া আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক, অমিতাভ বসু ও তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও রয়েছে মেয়র পদের দৌড়ে।
চন্দননগর পুরসভায় মেয়র হিসেবে তিনটি নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী। তিনি ছাড়াও মেয়র পদের দৌড়ে রয়েছেন অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থসারথী দত্ত। তবে দলের নেতারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছাড়ছেন মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেই।
তৃণমূলের নতুন জাতীয় কর্মসমিতির গঠনের পর আগামী শুক্রবার তার প্রথম বৈঠক। সেই বৈঠকে মমতা ছাড়া কর্মসমিতির বাকি ১৯ জন সদস্যকে হাজির থাকতে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তিন পুরসভার মেয়রের নাম ঘোষণার পাশাপাশি বেশ কিছু সাংগঠনিক ঘোষণাও ওই দিন করতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।