Krishna Chakraborty

West Bengal Municipal Election 2022: সব্যসাচীর পর মমতার বাড়িতে গেলেন কৃষ্ণাও, বিধাননগরের মেয়র কে, জল্পনা তুঙ্গে

কৃষ্ণা বলেন, ‘‘অভিষেক আমার পুত্রসম। জন্মের পর ওঁকে কোলে করে আমি বাড়ি এনেছি। ওঁর নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার নেত্রীও।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৪৮
Share:

ফাইল ছবি।

বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জিতলেন এ বারও। জিতে সব্যসাচী দত্তের মতো তিনিও গেলেন দলনেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে। সেখান থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘‘আজ মানুষকে ধন্যবাদ জানানোর দিন। মানুষ যাকে জেতায়, সেই শেষ কথা বলে।’’

বিধাননগরে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে লড়েছিলেন কৃষ্ণা। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলপ্রার্থী ছিলেন আর এক প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। দু’জনেই জিতেছেন। স্বভাবতই জল্পনা তৈরি হয়েছে, এ বার বিধাননগরের মেয়র হবেন কে, কৃষ্ণা না সব্যসাচী? জয়ের পর এ দিন দু’জনেই আলাদা আলাদা ভাবে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে এসে দেখে করেন।

Advertisement

বিধাননগরে জয় নিশ্চিত হতেই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দলনেত্রীর বাড়িতে আসেন সব্যসাচী। সেখান থেকে ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি হয়ে তিনি যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। দু’জনে হাসিমুখে সংবাদমাধ্যমের সামনেও আসেন। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী ঘোষণা করা হয় কৃষ্ণাকে। সেই খবর পেয়েই সল্টলেক থেকে কৃষ্ণার গাড়ি ছোটে কালীঘাটের পথে। মমতার ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে গিয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

সব্যসাচী দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর গিয়েছিলেন অভিষেকের অফিসেও। তিনিও কি যাবেন অভিষেকের সঙ্গে দেখা করতে? জবাবে কৃষ্ণা বলেন, ‘‘অভিষেক আমার পুত্রসম। জন্মের পর ওঁকে কোলে করে আমি বাড়ি এনেছি। ওঁর নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার নেত্রীও। তবে ওঁর সঙ্গে এখন দেখা করার কোনও প্ল্যান আমার নেই।’’ সব্যসাচী দেখা করে গিয়েছেন অভিষেকের সঙ্গে, প্রসঙ্গ তুলতেই কৃষ্ণার জবাব, ‘‘কে কার সঙ্গে দেখা করবে, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কৃষ্ণা চক্রবর্তী, আমার নিজের বিবেচনায় কাজ করি।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ফল প্রকাশের পরেই একটি সাক্ষাৎকারে কৃষ্ণা প্রসঙ্গে দলনেত্রী মমতা বলেন, ‘‘কৃষ্ণা আমার চিরকালের সহসাথী। ওদের প্রত্যেককে আমি খুব ভাল করে চিনি। আজকের সম্পর্ক তো নয়, ৮৪ সালে আমি যখন যাদবপুরে এমপি হয়ে দিল্লি গিয়েছিলাম, তখন কৃষ্ণা আমার সঙ্গে গিয়েছিল। ৫ বছর আমার সঙ্গে ছিল। আমরা দু’জনে রান্না করতাম। এবং কৃষ্ণা প্রেম করে যে বুয়া (সমীর চক্রবর্তী)কে বিয়ে করেছে, সেটাও আমার বাড়ি থেকেই। ওর অনেক মজার গল্প আছে। আমি চাইব, কারও বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষ নয়। আমাদের উদ্দেশ্য, সবাই যাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement