গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেল থেকে সড়কপথে অক্সফোর্ডের উদ্দেশে রওনা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অক্সফোর্ডের অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর তথা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। অক্সফোর্ডের উদ্দেশে পৃথক গাড়িতে তিনিও রওনা দিয়েছেন লন্ডন থেকে।
অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে ‘সামাজিক উন্নয়ন: বালিকা, শিশু এবং মহিলা ক্ষমতায়ণ’ বিষয়ে বক্তৃতা করবেন মমতা। এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান। প্রথমে বক্তৃতা, তার পর আলাপচারিতা। বৃহস্পতিবার মূল কর্মসূচির আগে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি একান্ত বৈঠকও হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। অক্সফোর্ডের বিভিন্ন মাইলফলক মমতাকে ঘুরিয়ে দেখাবেন কর্তৃপক্ষ। যার শেষটি হল গ্রন্থাগার। সেখানে মমতা-সহ মাত্র পাঁচ জনের প্রবেশাধিকার রয়েছে। গ্রন্থাগার থেকে মমতা সোজা কেলগ কলেজের মূল প্রেক্ষাগৃহে যাবেন বক্তৃতা করতে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বণিক মহলের সামনেও রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্প, মহিলা ক্ষমতায়ণের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সরকার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জন্য ৯৪টি প্রকল্প চালায়। কিন্তু এখানে সবটা বলছি না। ওটা অক্সফোর্ডে বলব।’’ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা মহিলা ক্ষমতায়ণে দেশে এক নম্বরে রয়েছি। অন্যেরা মুখে জনপ্রতিনিধিত্বে ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের কথা বললেও আমার পার্টির ৩৯ শতাংশ নির্বাচিত সাংসদ মহিলা। আমি নিজে সাত বারের সাংসদ, তিন বারের বিধায়ক (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী)। ২০০৪ সালে বিরোধীদের যখন কেউ জিততে পারেনি, তখনও আমি জিতেছিলাম।’’
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে আরজি কর প্রসঙ্গ তুলতে পারেন কেউ কেউ, এমন সম্ভাবনা রয়েছে। যে বিষয়ে অবহিত মমতা স্বয়ং। তেমন কিছু হলে তিনি কী বলবেন, তার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন ‘দিদি’। বুধবার দুপুরে (লন্ডনের স্থানীয় সময়) টেমস নদীর পারে হাঁটতে হাঁটতে আনন্দবাজার ডট কমকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘ওরা বল করলে আমিও ব্যাটিং শুরু করব! ছক্কা মারব। ওরা কি ভেবেছে আমি তৈরি হয়ে আসিনি? নথি আমার কাছেও আছে। আমিও জবাব দিতে জানি।’’