নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে যাঁরা ভারত থেকে পড়তে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩০০ জন পড়ুয়া বাংলার। তাঁরা সকলেই ফিরে এসেছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইবেন, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। সেখানে কী কী সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা, কেন তাঁরা সে দেশে পড়তে গিয়েছিলেন, তা পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফাইল চিত্র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ঘরে ফেরা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে পডুয়াদের মুখোমুখি হওয়ার কথা তাঁর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে যাঁরা ভারত থেকে পড়তে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩০০ জন পড়ুয়া বাংলার। তাঁরা সকলেই ফিরে এসেছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী ওই পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইবেন, তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা। সেখানে কী কী সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁরা, কেন তাঁরা সে দেশে পড়তে গিয়েছিলেন, তা পড়ুয়াদের কাছে জানতে চাইবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পরই ভারতীয় পড়ুয়াদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে চিঠি লিখে আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ুয়াদের পরিবারগুলি যাতে তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর পেতে পারেন তার জন্য নবান্নে একটি হেল্পলাইনও চালু করা হয়। আটকে পড়া পড়ুয়ারা দেশে ফিরলে নিখরচায় বিমানবন্দর থেকে তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার।
দেশে ফেরার পর নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পড়ুয়ারা। কারণ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে পড়াশোনা মাঝপথে রেখেই দেশে ফিরতে হয়েছে। অনেকে নিজেদের শংসাপত্র আনতে পারেননি। তাঁদের অধিকাংশ ডাক্তারি পড়তে সে দেশে গিয়েছিলেন। এর পর তাঁরা কী করবেন? কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ? এই নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কায় তাঁরা।
জেলাশাসকদের মাধ্যমে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের ওই আলোচনা চক্রে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রত্যেক জেলা থেকে তাঁদের ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পড়ুয়ারা তাকিয়ে মঙ্গলবার তাঁদের জন্য কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।