ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে সরকার ভাঙা- গড়ার পিছনে আর্থিক লেনদেন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন কোথা থেকে এসেছে এই অর্থ? সেই সূত্রেই তৃণমূল নেত্রীর দাবি, মানুষের হৃদয় জয় করে এ সরকার তৈরি হয়নি। তাই এই সরকার টিকবেও না।
শিবসেনার মধ্যে ভাঙনের জেরে সরকার বদলে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপির সাহায্যে তাঁর দলেরই বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে এই পালাবদল নিয়ে যে তরজা চলছে সোমবার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন মমতা। নাম না করেও এই ঘটনার পিছনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে ঘুরিয়ে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের জন্য অসমে বিলাসবহুল দিনযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই অর্থ কোথা থেকে এসেছে? শুধু টাকাই নয়, আরও অনেক কিছুই দেওয়া হয়েছিল। খোঁজ করে দেখা হোক।’’
কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ দিন নিজের মতামত জানিয়েছেন মমতা। সেখানেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-বিরোধী জোটের অবস্থা নিয়েও কথা ওঠে সেই আলোচনায়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরের মুখ হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর বিপরীতে বিরোধীদের মুখ কে, এই প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, ‘‘উনি (মোদী) কি ঈশ্বর? দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্মাননীয়। কিন্তু এমন ভাবে তাঁর কথা বলা হচ্ছে যে তিনি যেন এক জন সুপার হিউম্যান!’’
তার পরেই দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে? দেশের ব্যাঙ্কের অবস্থা কী? শিল্প, কর্মসংস্থানের অবস্থা কী?’’ এই সূত্রেই ফের পিএম কেয়ার ফান্ডের কথা তুলে আর্থিক অনিয়মের কথা তোলেন তৃণমূল নেত্রী।
এ দিকে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা নিয়ে এ দিন পাল্টা আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সামনে বলেছি, বাংলায় পরবর্তী সরকার বিজেপি গড়বে। এত ঋণ নিতে দিচ্ছেন কেন? ৬ লাখ ৬২ হাজার কোটি টাকা ঋণ। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছি।’’ জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘‘মিথ্যা আর প্রতারণার উপরেই বিজেপির রাজনীতি ও কেন্দ্রীয় সরকার দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এ সব কথা বলছে।’’