Mamata Banerjee

করোনা রুখব, নাকি বিরোধী-চক্রান্ত: মমতা

করোনা পরিস্থিতিতেও বিরোধী  দলগুলির বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ আগেও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০৪:২৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি ফেসবুক থেকে।

এত তাড়া কিসের! নাম না করে বিজেপির ‘করোনা রাজনীতি’কে এভাবেই কটাক্ষে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যে নির্বাচন হবে আগামী মে মাসে। এখনও একবছর বাকি। এত তাড়াতাড়ি ধৈর্য হারিয়ে এই সংকটের সময় রাজনীতি করতে হবে?’’ বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘দুঃসময়ে রাজনীতি করলে মানুষ সঙ্গে থাকে না।’’ বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস—তিন বিরোধীই অবশ্য এক সুরে বলেছে, শাসকের ভূমিকাই তাদের রাজনীতি করতে বাধ্য করছে।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতেও বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ‘রাজনীতি’ করার অভিযোগ আগেও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সেও এ নিয়ে অসন্তোষের কথা স্পষ্ট করেন তিনি। এ দিন তার উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অনেক সময় রয়েছে। এখনই কুৎসা, চক্রান্ত করতে হবে? মিথ্যা বলতে হবে? আমরা তো করি না।’’ বিজেপি-সহ বিরোধীরা করোনাকে সামনে রেখে রাজ্যকে হেয় করতে চাইছেন বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার বদনাম করতে হবে? বাংলার বদনাম করলে আপনাদের ভাল লাগে?’’

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগও করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘করোনার সঙ্গে লড়াই করব না কি বিজেপির দাঙ্গার সঙ্গে লড়াই করব!’’ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের কাছে বাইরে আটকে থাকা মানুষকে ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার। তাঁদের চিকিৎসার বিষয়টি নিশ্চিত করা আর আর্থিক বিষয়টি দেখাই আমার অগ্রাধিকার। তাই করছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে মৃত্যু ৮ জনের, কিছুটা স্বস্তি সুস্থতার হারে

মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনায় শুধু বিজেপি নয়, মুখ খুলেছে কংগ্রেসও। তাদের দাবি, শাসকের ভূমিকার জন্যই তারা রাজনৈতিক কথা বলতে বাধ্য হচ্ছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, করোনা নিয়ে ‘রাজনীতি’র পথ ছাড়বেন না। তাঁর জবাব, ‘‘করোনায় মৃতের সংখ্যায় কারচুপি করা হয়েছে। মানুষ রেশন পাচ্ছেন না। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে রাজ্য সরকারের অনীহা স্পষ্ট। এই সবই আমাদের সামালোচনা করতে বাধ্য করেছে। এ সব নিয়ে কথা বলা রাজনীতি হলে তা একশ বার করব।’’ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিরোধীরা তো প্রশ্ন করবেই। স্বাস্থ্য, খাদ্য ও পুর পরিষেবার মতো তিনটি প্রধান ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকার ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী সরে অন্য কাউকে দায়িত্ব দিন। এর থেকে খারাপ কিছু হবে না।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘‘আমরা তো রাজনীতি করতে চাইনি। সরকারকে রেশন নিয়ে সতর্ক করেছি। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। কিন্তু সরকার বিরোধীদের কথা শুনতেই চায়নি। রাজনীতি কারা করছে, এ সবেই স্পষ্ট।’’

আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে করোনা-যুদ্ধে শামিল অন্তঃসত্ত্বা নার্স

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement