মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জগদীপ ধনখড়। নিজস্ব চিত্র
একুশে জুলাইয়ের বক্তৃতায় নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে তিনি ‘দিল্লির তাঁবেদার, সুবেদার’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। রাজ্যপালের পাল্টা মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসে এই ধরনের কথা বলা দুর্ভাগ্যজনক। তাঁর আত্মানুসন্ধানের সময় এসেছে।’’
রাজ্যপাল সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার মমতা বললেন, ‘‘এই বাংলা সুখের, শান্তির এবং সভ্যতার বাংলা। আইনশৃঙ্খলা? এত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথায় আছে? আদিবাসীদের মুখে এত হাসি কোথায় আছে?’’
এর পরই রাজ্যপালের প্রতি ইঙ্গিত করে মমতা বলেন, ‘‘এত বড় সাহস, কয়েক দিন আগে দিল্লির এক জন তাঁবেদার, সুবেদার আমাকে ফোনে বলেছেন, উপাচার্যদের শো-কজ় করব। আমি বললাম, ওখানে হাত দিয়ে দেখুন। আপনারা জানেন না, বাংলার সংস্কৃতি আমাদের প্রাণের গৌরব। উপাচার্যদের একটা শো-কজ় বা সাসপেন্ড করে দেখুন। তার পরে দেখবেন, ছাত্রধারা কাকে বলে, ছাত্রবিপ্লব কাকে বলে, যৌবনের প্লাবন কাকে বলে।’’
রাজ্যপালের তরফ থেকেও অবশ্য প্রতিক্রিয়া মিলেছে রাতেই। ধনখড়ের অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজেদের পাহাড়প্রমাণ ভুল ঢাকতে গিয়ে ঝুলির বেড়াল বার করে দিয়েছেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট— উপাচার্যদের আড়াল থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন তিনিই।’’