মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
‘‘কোথাও তো থাকতে হবে। মেয়েরা তো আর রাস্তায় পড়ে থাকতে পারি না”, জলপাইগুড়ির মালবাজারে তাঁর থাকার জন্য দলীয় বিধায়কের খামারবাড়ি সংস্কার নিয়ে ওঠা বিতর্কের জবাব কার্যত এ ভাবেই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুললেন, “মালবাজারে সরকারি থাকার জায়গা কোথায়!” মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারের সরকারি সভা থেকেই দাবি করলেন, সরকারের টাকা খরচ করে হোটেলে থাকেন না। তাই দলীয় বিধায়কের দুলাল দাসের খামারবাড়ি বেছে নিতে হয়েছে। ‘কম বাজেটে’ মালবাজারে একটি অতিথি নিবাস তৈরির নির্দেশও দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দুলালদার স্ত্রী যখন বেঁচেছিলেন, বার বার করে বলতেন, ‘মমতা আমার বাড়িতে এক বার এস’। বলেছিলাম, ‘তুমি যে দিন কটেজ করবে, আমাকে বলবে, আমি যাব’। মালে একটা থাকার (সরকারি) জায়গা নেই। দুলালদার বাড়ি ছিল বলে আমি থাকতে পারলাম।” মালবাজার সফরে এসে সোমবার তেসিমলায় ওই খামারবাড়িতে উঠেছিলেন মমতা। তার আগে, খামারবাড়িতে ‘নিরাপত্তা’র খাতিরে বেশ কিছু মেরামতি বা সংস্কারের কাজ হয়। তা নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী টুইটে অভিযোগ করেছিলেন— সরকারি অর্থে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি সংস্কার করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “এখানে হোটেল আছে, মুখ্যসচিব-সহ আধিকারিকেরা সেখানে উঠেছেন। ভোটের সময় আমিও উঠেছিলাম। কিন্তু হোটেলে থাকতে চাই না। সরকারের পয়সা খরচ করব কেন?”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, অবস্থানের দিক থেকেও মালবাজার গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে অতিথি নিবাস হলে পর্যটকেরা থাকতে পারবেন। তিনি বলেন, “চা সুন্দরীতে যেমন চা শ্রমিকদের ঘর হচ্ছে, তেমন মডেলের ঘরও হতে পারে।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে, এ দিন সে জন্য জমি দেখা হয়েছে।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের অবশ্য কটাক্ষ, “মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জন্য সরকারি টাকার অপচয় শুভেন্দু অধিকারী চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর পরে, এখন সরকারি অতিথি নিবাস তৈরি হবে মালবাজারে।”