BPL

বিপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার তদন্তে স্বাধীন কমিটি গঠন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের, দুর্নীতি দমনে কড়া বার্তা

গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের একাধিক ম্যাচে। তদন্তের জন্য স্বাধীন কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। দুর্নীতি দমন শাখাকে সাহায্য করবে এই কমিটি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৬
Share:
representative picture

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। অভিযুক্ত ১০ জন ক্রিকেটার এবং চারটি দল। গুরুতর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই কমিটি তদন্তে সাহায্য করবে দুর্নীতি দমন শাখাকে। ২০১৩ সালের পর প্রথম বার সরকারি ভাবে বিপিএলে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দিল বিসিবি।

Advertisement

অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের আট জনই বাংলাদেশের। তাঁদের মধ্যে দু’জনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই। দু’জন বিদেশি ক্রিকেটারও রয়েছেন সন্দেহের তালিকায়। ম্যাচ গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং চট্টগ্রাম কিংসের বিরুদ্ধে। প্রতিযোগিতার এই চারটি দলের ম্যাচগুলি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও বোলার পর পর তিনটি নো, ওয়াইড বল করেছেন। কোনও ম্যাচের প্রথম একাদশ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। কোনও কোনও ম্যাচে আবার ব্যাটারদের মন্থর ব্যাটিং করতে দেখা গিয়েছে।

বিসিবি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেই কাজে সাহায্যের জন্য একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের তদন্তের কাছে সহায়তা করবে। ক্রিকেটের জন্য সুষ্ঠু এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বিসিবি। বাংলাদেশে খেলাধুলার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে প্রস্তুত।’’

Advertisement

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘বিসিবি বিপিএলের সম্ভাব্য দুর্নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বোর্ড সুষ্ঠু এবং সুন্দর ভাবে ক্রিকেট পরিচালনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের দুর্নীতি দমন নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলে বিসিবি। যে কোনও ধরনের দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান আপসহীন। কোনও রকম রেয়াত করার পক্ষে নয় বোর্ড। যথাযথ গোপনীয়তা এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে সব অভিযোগের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

সাতটি দল খেলে বিপিএলে। প্রত্যেক দলে এক জন করে দুর্নীতিদমন আধিকারিক রয়েছেন। ম্যাচ গড়াপেটা আটকানোর জন্যই তাঁদের রাখা হয়। যদিও তাঁদের বেতন দেন দলগুলির কর্তৃপক্ষই। ফলে সেই আধিকারিকেরা কতটা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement