কবে হবে মুখ্যমন্ত্রীর সাধের সৈকত সরণি

২০১৫ সালে দিঘা থেকে কাঁথি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রাস্তা তৈরি হলে সমুদ্রের ধার বরাবর অনায়াসে কাঁথি থেকে দিঘা পর্যন্ত যেতে পারবেন পর্যটকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩২
Share:

জলধার কাছে তৈরি হচ্ছে সেতু। নিজস্ব চিত্র

প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছে ২০১৫ সালে। কিন্তু তার চার বছর পরেও দিঘায় চালু হল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের ‘মেরিন ড্রাইভ’। পরপর কয়েক বার দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মেরিন ড্রাইভের কাজ নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও মেরিন ড্রাইভ এখনও তৈরি হয়নি। সমুদ্রের ধার বরাবর রাস্তার কাজ অনেকটা এগোলেও রাস্তা এবং সমুদ্রের সংযোগকারী সেতুর কাজ তেমন এগোয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

২০১৫ সালে দিঘা থেকে কাঁথি পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই রাস্তা তৈরি হলে সমুদ্রের ধার বরাবর অনায়াসে কাঁথি থেকে দিঘা পর্যন্ত যেতে পারবেন পর্যটকেরা। রাস্তার মাঝে মন্দারমণি এবং তাজপুরের মধ্যবর্তী জলধা মৎস্য খটির কাছে একটি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে খালের উপর কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সেতুর স্তম্ভ নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার পরে আর কাজ সে রকমভাবে এগোয়নি বলে অভিযোগ। একই রকম পরিস্থিতি নয়াকালী এবং কাঁথির শৌলার কাছে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদকে (ডিএসডিএ)। সে জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। ডিএসডিএ সূত্রের খবর, দিঘা থেকে মন্দারমণি সংলগ্ন দাদনপাত্রবাড় পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে কাঁথির শৌলা পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে। তার জন্য ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisement

তিনটি সেতু, প্রবেশের রাস্তা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় পূর্ত দফতরকে (হাইওয়ে)। দিঘা থেকে পাঁচ কিমি দূরে নয়াকালী, ১৫ কিমি দূরে জলধা, ২৯ কিমি দূরে শৌলাতে তিনটি সেতু হওয়ার কথা। দু’বছরের মধ্যে তিনটি সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধেছিল রাজ্য। তার জন্য পূর্ত দফতর রাজ্য সরকারের নিজস্ব ঠিকাদার সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নয়াকালী এবং শৌলাতে নদীতে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে ভালই। কিন্তু জলধায় সেতু নির্মাণের কাজ ধীরে চলছে বলে অভিযোগ।

প্রশাসন সূত্রের খবর, জলধার কাছে সমুদ্র সংলগ্ন খালে জোয়ার ভাটা হয় বেশি। সে জন্য কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভ এবং তার সংযোগকারী সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হতে আরও বছরখানেক সময় লেগে যেতে পারে বলে খবর।

স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘প্রাকৃতিক বিপর্যয়, জোয়ার ভাটার জন্য সেতু নির্মাণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে মেরিন ড্রাইভের কাজ অনেকটাই শেষ।’’ ডিএসডি’এর চেয়ারম্যান শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘ওই প্রকল্পে রাস্তা নির্মাণের কাজ ডিএসডিএ জোর কদমে চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেতু নির্মাণের কাজ কেন দেরি হচ্ছে তা পূর্ত দফতর বলতে পারবে।’’

সেতুর তৈরির সমস্যা সম্পর্কে জানতে ফোন করা হয়েছিল পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (হাইওয়ে, তমলুক ডিভিশন) শিবশঙ্কর মালাকারকে। কিন্তু তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement