মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ধর্মীয় পর্যটনের প্রসার ঘটানোর জন্য রাজ্যগুলিকে উৎসাহ দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজেট বক্তৃতায় জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াক ও মায়াপুর ইসকন নিয়ে ফের সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা শুনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, যদিও সব ক’টি উদাহরণ সুপ্রযুক্ত নয়, তবু বিজেপির ধর্মীয় প্রচারের মোকাবিলা করতেই এই প্রসঙ্গগুলি টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন দুপুরে বাজেট বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ধর্মীয় পর্যটনের প্রসার ঘটানোর জন্য রাজ্যগুলিকে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নবদ্বীপ ধাম হেরিটেজ টাউন হচ্ছে। ইসকনকে ৭০০ একর জমি দিয়েছি। ওখানে তীর্থনগরী তৈরি হচ্ছে।” একই সঙ্গে তিনি দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক নিয়ে রেলের সঙ্গে বিরোধের প্রসঙ্গও তোলেন।
দক্ষিণেশ্বরে স্কাইওয়াকের একাংশ সরানো নিয়ে অনেক দিন ধরে মেট্রো রেলের সঙ্গে রাজ্যের মতভেদ চলছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আবার বলে কি না, দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভাঙবে! স্কাইওয়াক আমি বুকের পাটা দিয়ে রক্ষা করব।’’ কলকাতা মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা কখনও ওই স্কাইওয়াক ভাঙার কথা বলিনি। দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে যাত্রী পরিষেবার উন্নতির স্বার্থে একটি অংশ সরিয়ে শূন্যে কিছুটা পরিসর বার করার কথা বলা হয়েছে।’’ সেই রদবদলের খরচ মেট্রোই বহন করবে বলে দাবি করে তিনি জানান, মেট্রো কর্তৃপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর বিষয়ে আশাবাদী।
ইসকনের মন্দির কর্তৃপক্ষ রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়ের সাহায্য ছাড়া মহাপ্রভুর আদর্শ প্রচারের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’’
রাজ্য সরকার দিঘায় ‘জগন্নাথ ধাম’ করার জন্যও কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এ দিন বার বার চৈতন্যদেব, অদ্বৈতাচার্য, কৃত্তিবাসের রামায়ণ থেকে শুরু করে মতুয়াদের বড়মায়ের কথা উল্লেখ করেছেন মমতা। বলেছেন শান্তিপুরের রাস, কৃষ্ণনগরের চার্চের কথাও।