Mamata Banerjee

মন্ত্রিত্ব থেকে অখিল গিরির ইস্তফার পরে বন দফতরের কাজ নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রী মমতার

সোমবার সকালে অখিল বলেছিলেন, বন দফতরের একাধিক আধিকারিক কী অনিয়ম করেছেন, তা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে দেবেন। তার পরে বন দফতরের কাজে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা উল্লেখযোগ্য বলে অভিমত অনেকের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৪ ১৭:৩১
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

বন দফতরের মহিলা আধিকারিককে ‘কুকথা’ বলে মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন অখিল গিরি। সোমবারই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফা দিলেও বন দফতরের আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন রামনগরের বিধায়ক অখিল। অন্য দিকে, সোমবার দুপুরে বিধানসভায় বন মহোৎসব অনুষ্ঠানে বন দফতরের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বন দফতরের উদ্যোগে বিধানসভায় বন মহোৎসবের সূচনা হয় সোমবার। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। বিরহাবাকে পাশে বসিয়েই মমতা বলেন, ‘‘বন দফতর অনেক কাজ করেছে। গোটা সুন্দরবনে ২০ কোটিরও বেশি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হয়েছে। যা নদীভাঙন রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।’’

পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গত শনিবার অভিযান চালিয়েছিল বন দফতর। অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল দোকানপাট। তা ভাঙতে গিয়েই এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বনকর্মীদের। গত শনিবার সেখানে রামনগরের বিধায়ক (তখনও মন্ত্রী) অখিলের সঙ্গে বচসা হয় ওই মহিলা বন আধিকারিক মনীষা সাউয়ের। ওই মহিলা কর্মীর উদ্দেশে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ শানাতে শোনা যায় অখিলকে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শাসকদল তৃণমূলের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, অখিলের বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না। শেষ পর্যন্ত মমতার নির্দেশে রবিবার রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ফোন করে অখিলকে নির্দেশ দেন, মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে।

Advertisement

গত শনিবার বন দফতরের ওই মহিলা আধিকারিক মনীষাকে ফোন করেছিলেন বিরবাহা এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। সে দিনই তৃণমূল জানিয়ে দিয়েছিল, গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী রুষ্ট। সেই প্রেক্ষাপটে বন দফতরের কাজে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন অনেকে। সোমবার সকালে অখিল জানিয়েছিলেন, বন দফতরের একাধিক আধিকারিক কী অনিয়ম করছেন, তা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে লিখিত আকারে দেবেন। তার পরে বন দফতরের কাজে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা উল্লেখযোগ্য বলে অভিমত অনেকের। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়ে সোমবার মমতা বলেন, ‘‘সবুজ নিয়ে আমরা যেন অবুঝ না হই। সবুজকে ধ্বংস কোরো না, আঘাত দিয়ো না। তারাও যে বাঁচতে চায়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement