বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে সচিন পিলগাঁওকরকে দেখে হতবাক প্রভাত রায়। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের পার্থক্য রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বন্ধুত্বে এতটুকু ধুলো জমেনি তাঁদের। রবিবার টলিপাড়ার বর্ষীয়ান পরিচালক প্রভাত রায়ের আত্মজীবনী (‘ক্ল্যাপস্টিক’) প্রকাশিত হল। ‘দাদা’র টানেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে চমক দিলেন বলিউড অভিনেতা সচিন পিলগাঁওকর।
রবিবার সন্ধ্যায়, তখন প্রভাতের সঙ্গে টলিপাড়ার একাংশ। বর্যীয়ান পরিচালকের বিশেষ দিনে প্রত্যেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত। শুভেচ্ছাবার্তা আসে প্রযোজক বনি কপূর ও সচিন পিলগাঁওকরের তরফেও। কেরিয়ারের শুরুতে মুম্বইয়ে শক্তি সামন্তের সহকারী ছিলেন প্রভাত এবং বনি। অন্য দিকে, ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় তরুণ মজুমদার পরিচালিত ছবি ‘বালিকা বধূ’। শক্তি সামন্ত প্রযোজিত এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সচিন। অন্য দিকে, তরুণের সহকারী হিসেবে কাজ করেন প্রভাত।
ভিডিয়োয় শুভেচ্ছাবার্তা পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু সচিন যে সরাসরি মঞ্চে উপস্থিত হবেন, তা জানতেন না প্রভাত। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেই প্রভাত বলেন, ‘‘তুই এখানে কী করছিস!’’ মঞ্চে দুই বন্ধুর অভিজ্ঞতাও উপস্থিত দর্শকের সঙ্গে ভাগ করে নেন। প্রভাত তাঁদের প্রথম আলাপের প্রসঙ্গ তুলতেই সচিন বলেন, ‘‘নটরাজ স্টুডিয়োয় ‘বালিকা বধূ’র শুটিং। সব মনে আছে।’’
সচিন জানালেন, ‘বালিকা বধূ’র শুটিংয়ের সময় তাঁর বয়স ১৯ বছর। অন্য দিকে, প্রভাত তখন মুম্বইয়ের দক্ষ টেকনিশিয়ান। সচিনের কথায়, ‘‘কিন্তু, আমাদের বন্ধুত্ব তৈরি হতে বেশি সময় লাগেনি। তরুণদা, নন্দুদা (সিনেমাটোগ্রাফার নন্দ ভট্টাচার্য)— সকলে মিলে আমরা খুব ভাল সময় কাটিয়েছি।’’
ছবির ‘বড়ে অচ্ছে লগতে হ্যায়’ গানটির শুটিং হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। এই গানটি তাঁর ৬১ বছরের কেরিয়ারে অন্যতম প্রাপ্তি হিসেবেই উল্লেখ করলেন সচিন। বললেন, ‘‘ছবিতে আমার অভিনয় যদি দর্শক পছন্দ করেন, তার নেপথ্যে তরুণদার অবদান যতটা, ততটাই প্রভাতদার।’’ বিশেষ দিনে ‘প্রভাতদা’র জন্য সচিনের উপহার ছিল একটি কলম। প্রভাতের উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ, ‘‘দাদা, আপনি আরও লিখতে থাকুন।’’