মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
শিলিগুড়ি শহর থেকে সরে আসছে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মূল উদ্বোধনের অনুষ্ঠান মঞ্চ। এ বার মাটিগাড়ার আঠারোখাই এলাকার একটি স্কুলের মাঠে হচ্ছে সেটি। শনিবার শিলিগুড়ির মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে উৎসবের প্রস্তুতি বৈঠক করে এ কথা জানান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। সব ঠিক থাকলে ২০ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে এসে ওখানেই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। একই সময়ে উত্তরবঙ্গের প্রতিটি জেলায় এক বা একাধিক মঞ্চে উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠান রাখার কথা ঠিক হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রভানু মঞ্চেও অনুষ্ঠান হবে। বিভিন্ন দিনে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন হবে। উদ্বোধনী মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নয় জনের হাতে বঙ্গরত্ন সম্মান তুলে দেবেন। প্রতি জেলার ১০ জন মেধাবী পড়ুয়াকে বৃত্তি দেোয়া হবে। হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
উৎসবের মূল আয়োজক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০ জানুয়ারি নবম উত্তরবঙ্গ উৎসব শুরু হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী আঠারোখাই স্কুলের মাঠে বেলা ৩টায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন। তার আগে ফাঁসিদেওয়া মোড় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উৎসবের মাঠে পৌঁছবে।’’ আয়োজনের বিষয় নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য কিছু বলতে চাননি। তিনি জানান, যা বলার দফতরের সচিবরাই জানাবেন। উৎসব কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হবে। পর্যটনমন্ত্রীর দাবি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা এটি। গত বছর ১৬ হাজারের বেশি প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। চারটি বিভাগের প্রতিটি থেকে ৫০ জন করে মোট ২০০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়া, প্রতিযোগীদের জন্য আলাদা জ়োন থাকবে এ বছর। তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে ২৮ জানুয়ারি। তবে সকলকে শংসাপত্র এবং মেডেল অনুষ্ঠানের দিনই দেওয়া হবে।
২৬ জানুয়ারি হাফ ম্যারাথন দৌড় এবং ‘ফান রান’ প্রতিযোগিতা হবে। উত্তরবঙ্গ উৎসবের অঙ্গ হিসাবে বাংলার হাটে দু’দিনের অনুষ্ঠান হবে। দার্জিলিং জেলায় দার্জিলিং, মিরিকে, কালিম্পঙে অনুষ্ঠান হবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে, কালিয়াগঞ্জে, বালুরঘাট, ইংরেজবাজার, রায়গঞ্জে দু’দিনের অনুষ্ঠান হবে। শিলিগুড়ি শহরে না করে অন্যত্র উদ্বোধনের মূল মঞ্চ করা হল কেন? মন্ত্রী জানান, উত্তরবঙ্গ উৎসব প্রতি বছর শিলিগুড়িতে কেন হবে? কোচবিহারে হতে পারে, মালদহেও হতে পারে। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা চেয়েছিলেন ক্যাম্পাসে উৎসবের কর্মসূচি নেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন সেটা করা হবে।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ কমিশনারেটের মাঠে উৎসবের মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার কথা ভাবা হয়েছিল। তবে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। আলোচনা করে তাঁর পরামর্শ অনুসারে শিবমন্দিরে আঠারোখাই স্কুলের মাঠে মূল উদ্বোধন অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে।’’