রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার অভিযোগ করেছিলেন, গোটা দেশে আগুন জ্বালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বৃহস্পতিবার পাল্টা বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ইশারাতে এই রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। আমি ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি। যদি ভুল হয়, তবে উনি আইনানুগ পদক্ষেপ করুন।’’
বিধাননগর পুর এলাকার জগৎপুরে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার এই অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। তিনি যেখানে পথে নেমে আন্দোলন করছেন, লোককে ভুল বোঝাচ্ছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা কীভাবে বজায় থাকবে?’’ এই প্রেক্ষিতেই কৈলাসের মন্তব্য, মমতার আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই। ওই অনুষ্ঠানে কৈলাসের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এ দিনই মেদিনীপুরে সিএএ-র সমর্থনে এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘দিদি, আপনি খেলছিলেন, আমরা দেখছিলাম। এ বার বিজেপি খেলবে, আপনাকে দেখতে হবে।’’
কৈলাসের বক্তব্যের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিযা, ‘‘যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে, অসমে এবং ত্রিপুরাতেও হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছে। তার জন্য উনি বরং ওঁর দলের হাতে থাকা ওই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের উপদেশ দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও বর্গীর কৃপায় মুখ্যমন্ত্রী হননি। মানুষের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সুতরাং, কোনও বর্গীর কথার জবাব দেওয়ার দায় তাঁর নেই।’’
সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র সমর্থনে আগামী ২৩ ডিসেম্বর কলকাতায় দলের সর্বভারতীয় কার্যকরী সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডার নেতৃত্বে মিছিল করবে বিজেপি। পর দিনই তৃণমূল একটি মিছিল করবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মমতা।