ক্রিসমাস কার্নিভালের সূচনার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী । এলেন পার্কে l নিজস্ব চিত্র।
তিনি পুজোয় গান বাঁধেন বছর বছর। এই বড়দিনে ‘বড়দিনের গানে’ও হাতে খড়ি হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার পার্ক স্ট্রিটের অ্যালেন পার্কের ‘কলকাতা ক্রিসমাস উৎসব’-এর উদ্বোধনী আসর সেই গানের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ দেখল। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এ দিন বলেন, ৩৬ ঘণ্টা আগে মুখ্যমন্ত্রী গানটা বেঁধে মোবাইলে পাঠান। শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় গানটি গেয়েছেন। একটু আগেও গানটার
রেক্টিফিকেশন (মেরামতি) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন। তবে মনে হয় না মেরামতি লাগবে।’’
মমতা বলেন, ‘‘সব উৎসবে গান লিখি। এ বার হাঁটতে হাঁটতে বড়দিনের গানও লিখলাম। ইন্দ্রনীলকে ধন্যবাদ, ও এত দিনের মধ্যে শ্রীরাধাকে দিয়ে গানটি রেকর্ড করিয়েছে।’’ তার পরেই শ্রীরাধার কণ্ঠে ‘শান্তির দীপ এসো ঘরে ভরি’ গানটি বাজানো হয়। গম্ভীর চিন্তিত মুখে মঞ্চে বসে নিজের গান শোনেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার পুজোতেও শ্রীরাধার কণ্ঠে মমতার গানকে বিশ্ববাংলা পুরস্কার দেওয়া হয়। ইন্দ্রনীলের সঙ্গে ‘মঙ্গলদীপ জ্বেলে’, ‘বিশ্বপিতা তুমি হে প্রভু’— গান দু’টিতেও গলা মেলান মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন শুরু হওয়া ক্রিসমাস উৎসবে কলকাতার ছোট ছোট নানা সম্প্রদায় যেমন, চিনা, গোয়ান, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান, বাঙালি খ্রিস্টানেরা খাবারের পসরা সাজিয়েছেন পার্ক স্ট্রিটের ফুটপাতে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর ভিড়ের জন্য পার্ক স্ট্রিটে গান চলবে না। বড়দিন উৎসব উপলক্ষে আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে পার্ক স্ট্রিট ও বৌবাজারের বো ব্যারাকস। চা ও পর্যটন মেলে ধরার লক্ষে দার্জিলিংয়ের টি মেলো উৎসবও এ দিন পার্ক স্ট্রিটের মঞ্চ থেকেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মমতা। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া-সহ ১৪টি জেলায় ১৪টি গির্জাও ওই মঞ্চ থেকে আলোয় সাজানোর কথা ঘোষণা
করা হয়।