Mamata Banerjee

বড় ‘চোর’ বিজেপিই, পাল্টা সরব মমতা

বিভিন্ন সভায় তৃণমূল নেতাদের ‘চোর’ বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:০২
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে এক দিকে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। অন্য দিকে, রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করে ‘চোর’ স্লোগান দিচ্ছে বিজেপি। নবান্নে বসে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে পাল্টা অভিযোগ, ‘‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি কা সব চোর হ্যায়! বড় বড় ডাকাত, গুন্ডা, দুষ্কৃতী এজেন্সিগুলোর নিরাপত্তার রয়েছে। ওদের বাঁচাচ্ছে!’’

Advertisement

বিভিন্ন সভায় তৃণমূল নেতাদের ‘চোর’ বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘বিজেপি সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে, চোর চোর। ওরাই সব চেয়ে বড় চোর!’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তাদের (বিজেপি নেতা) বাড়িগুলোতে হানা দিলে তৃণমূল যা করেছে...পাঁচটা আঙুলের মধ্যে একটা কেটে যেতে পারে। একটা ছোট্ট ঘটনার জন্য সবাইকে খারাপ বলা যায় না!’’

মমতা ফের দাবি করেছেন, তিনি কখনও বিনা পয়সায় চা-ও খান না। তিনি বলেন, ‘‘মাইনে-ভাতা-পেনশন তুলি না। তা তুললে মাসে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হতো। ১৩ বছর তুলিনি। কত টাকা হয়? সরকারি জায়গায় থাকা-খাওয়ার টাকা দিই। আমি এক বেলা খাই, আর এক বেলা খাই না।’’

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘যা ঘটেছে, তা বাংলার মানুষের দৃশ্যমনতার মধ্যে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা তাঁর রাজনৈতিক দীনতা প্রকাশ করছে। তাঁর কথা দিয়ে বাংলার রাজনীতিকে কোনও নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করার শক্তি তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।’’

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগও ফের তুলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘অনেকের মাথায় ছাদ নেই। চেষ্টা করছি করে দিতে। কিন্তু কেন্দ্র আটকে রেখেছে। ঠিক সময় মতো করে দেব, ভাবার কিছু নেই।’’ মমতার দাবি, জলস্বপ্ন (জলজীবন মিশন) পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকারই। জমি, রক্ষণাবেক্ষণ সব করছে তারাই। সে দিক থেকে প্রকল্পের অংশিদারিত্ব রাজ্যের রয়েছে অন্তত ৭৫%। কেন্দ্রের তা ২৫%। এ বছর ডিসেম্বর বা আগামী বছরের শুরুতে সব বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কাউকে বঞ্চিত করিনি। বিপুল চাকরি দিয়েছি। শুধু মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পেই এক কোটি ১৫ লক্ষ লোক চাকরি পেয়েছে। যারা বড় বড় কথা বলছে, তাদের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেব! কেন্দ্রে ৪০% বেকারত্ব বেড়েছে। আমাদের ৪০% দারিদ্র কমেছে। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছে। তা-ও আমি ওই কাজ বন্ধ করিনি। আগের মতোই ৪০ দিনের কাজ নিশ্চিত করেছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ভুল করলে সমালোচনা করুন। প্রায় ১১ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি মানুষই কোনও না কোনও সরকারি পরিষেবা পায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement