শুরু হতে চলেছে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসব। অনেকেই ভুলে যান, দশমীতেই শেষ নয়, তার পরেও একে একে আরও কত কত উপলক্ষ আছে! ভাইফোঁটা, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। আর তার আগে দুর্গাপুজোর চার-চারটে দিন। আপনি প্রস্তুত তো?
বাইরে খাওয়াদাওয়া, রাতভর পায়ে হেঁটে ঠাকুর দেখা, সারা দিন আড্ডা—এই ক’দিনে হরেক মজা! তবে শরীর স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করছেন না তো? এড়িয়ে যাচ্ছেন শরীরে কোথাও হালকা ব্যথা? পুজোর আগে কে-ই বা ডাক্তারের কাছে ছোটে!
কোনও কোনও ক্ষেত্রে এখান থেকেই বড় রোগ বাসা বাঁধে। যেমন নিতম্বে যন্ত্রণা অথবা অসাড়তা। পাত্তা না দিলেই কিন্তু ভুল করবেন। কিন্তু কেন হয় এই ব্যথা? উপশম-পন্থাই বা কী?
এখানে নিতম্বের ব্যথার কিছু কারণ দেওয়া হল। কোন কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে এই যন্ত্রণা? জেনে নিন পুজোর আগেই। নয়তো পুজোর আনন্দটাই মাটি হতে পারে!
আকস্মিক ট্রমা গ্লুটিয়াল পেশিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে এমন ব্যথা হতে পারে। সায়াটিক স্নায়ুর সংকোচন বা জ্বালা নিতম্বের ব্যথার কারণ হতে পারে।
পিরিফর্মিস পেশি নিতম্বের অনেকটা গভীরে অবস্থিত। তা টানটান বা স্ফীত হয়ে গেলে ব্যথা হতে পারে। মেরুদণ্ডের গোড়ায় স্যাক্রোইলিয়াক জয়েন্টে সমস্যা দেখা দিলে নিতম্বে ব্যথা হতে পারে।
গর্ভাবস্থা, ট্রমা বা বার বার মানসিক চাপ তৈরি হয়ে পেলভিক জয়েন্টে সমস্যা বাড়াতে পারে। অস্টিওআর্থারাইটিস বা প্রদাহজনক অন্ত্রের রোগ (IBD) হলেও এই যন্ত্রণা হতে পারে।
আবার পেলভিক এলাকায় সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ বা যৌন সংক্রমণের কারণে নিতম্বে ব্যথা হতে পারে।
কী কী করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়? বিশ্রাম নেওয়া দরকার। চাপ নিয়ে কাজ করা বা হুটোপাটি করলে এই ব্যথা সারবে না।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ওষুধ: ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
গরম এবং ঠান্ডা সেঁক: গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিলে সাময়িক ভাবে আরাম পেতে পারেন। কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম আছে, চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি করা যায়। যেমন স্ট্রেচিং ইত্যাদি।
ভঙ্গি সংশোধন: বসা এবং দাঁড়ানোর ভঙ্গিতে ভুল নেই তো? শারীরিক ভঙ্গি ঠিক থাকলে নিতম্বের পেশির উপর চাপ কমতে পারে। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।