IPC Bill 2023

ন্যায় সংহিতা-সহ তিন বিলের প্রতিবাদ জানাতে লক্ষ্মীপুজোর আগে কাকলিকে দিল্লি পাঠাচ্ছেন মমতা

তিন বিলের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লক্ষ্ণীপুজোর আগেই বারসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে দিল্লি পাঠাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩৯
Share:

(বাঁ দিকে) কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম— দেশের আইনশৃঙ্খলার খোলনলচে বদলে দেওয়ার তিনটি বিল নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তৎপরতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই বিলের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লক্ষ্ণীপুজোর দিনেই বারসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে দিল্লি পাঠাচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাড়ি লাগোয়া কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘এটা আমার জিজ্ঞাস্য! যখন তখন আইন বদলে দিচ্ছে। আরও তিনটে সাংঘাতিক আইন নিয়ে আসছে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পর পর আলোচনা করে যাচ্ছে। কাকলির বাড়িতে লক্ষ্ণীপুজো। আমি বলেছি, এখানে লক্ষ্ণীপুজো করতে হবে না। স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গিয়ে লক্ষ্ণীপুজো করো। বিরোধীদলের মেম্বার থাকে পাঁচ-সাতজন। বাকি সবাই শাসকদলের সদস্য।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘আমাদেরও এমন অনেক জায়গা আছে। কিন্তু আমরা এমন কাজ করি না। আগের সরকারও এমন কাজ করত না।’’ এমন মন্তব্য করে মমতা বোঝাতে চেয়েছেন নতুন আইন কার্যকর করতে তিনটি বিল উত্থাপন করা হলে তার বিরোধিতা করবে তৃণমূল সংসদীয় দল।

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম নিয়ে গত ২০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক স্থায়ী কমিটির সদস্যদের কাছে বিলের খসড়া পাঠিয়েছে। সঙ্গে ২৭ অক্টোবরের মধ্যেই তাদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। এই কমিটিতে লোকসভার ২১ জন ও রাজ্যসভার ১০ জন সাংসদ রয়েছেন। সেই কমিটিতে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন ও লোকসভার সাংসদদের মধ্যে রয়েছেন কাকলি। বুধবারই ডেরেক চিঠি লিখে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালকে দলীয় অবস্থান জানিয়েছিলেন। সঙ্গে চিঠিতে লিখেছিলেন, বাংলায় এখন উৎসব। ইউনেস্কো কলকাতার শারদোৎসবকে আবহমান ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। আর ২৭ অক্টোবর কলকাতায় কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ তারিখে লক্ষ্মীপুজো। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার সাংসদরা বিল নিয়ে নিজেদের মতামত জানানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির কাছে কেন অতিরিক্ত সময় পাবেন না? প্রসঙ্গত মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষও এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

Advertisement

ডেরেকের এমন চিঠির পরেও সংসদীয় কমিটির সময়সীমায় বদল আসেনি। লক্ষ্মীপুজো ২৮ অক্টোবর। কিন্তু তার আগেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তাই লক্ষ্মীপুজোর আগে বারাসতের তৃণমূল সাংসদকে দিল্লি পাঠিয়ে দলের তরফে ওই তিন আইন নিয়ে নিজেদের প্রতিবাদ নথিবদ্ধ করাতে চাইছেন মমতা। বাংলার শাসকদল মনে করছে, আগামী শীতকালীন অধিবেশনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম বিল পেশ করবে মোদী সরকার। তার আগে এই তিন বিল নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা খসড়া প্রস্তাবেই নথিবদ্ধ করাতে চাইছে তৃণমূল। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাংসদদের উপস্থিত করিয়ে প্রতিবাদ নথিবদ্ধ করাতে চান মমতা। ইতিমধ্যে সাংসদ পি চিদম্বরম ও এনআর এলাঙ্গো বিলে একাধিক ত্রুটির কথা তুলে ধরেছেন। সেই ত্রুটির কথা আবার কমিটির চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতেও উল্লেখ করেছেন ডেরেক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement