Mamata Banerjee

‘আমরা না হয় মিথ্যে বলি, সত্যিটা কী আপনি বলুন’, অমিতকে তোপ মমতার

সিএএ নিয়ে আতঙ্কে তৈরি হয়েছে পাহাড়বাসীর একাংশের মনেও। এ দিন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:০৮
Share:

দার্জিলিঙে পদযাত্রা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

উত্তরবঙ্গ সফরে শিলিগুড়ির মঞ্চ থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এ নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির গড় দার্জিলিঙে পা রেখে ফের হুঙ্কার দিলেন তিনি। দাবি তুললেন, সিএএ প্রত্যাহার করার। মঙ্গলবার লখনউয়ের সভা থেকে সিএএ নিয়ে অমিত শাহ নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ দিন দার্জিলিং থেকে সেই আক্রমণ ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গ টেনে বিঁধেছেন মোদী সরকারকেও।

Advertisement

বুধবার দার্জিলিঙে পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর যোগ দেন জনসভায়। সিএএ নিয়ে আতঙ্কে তৈরি হয়েছে পাহাড়বাসীর একাংশের মনেও। এ দিন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভোট নিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী আমাদেরই তাড়াতে চাইছেন। আজ আমাদের কি আবার স্বাধীনতার কথা বলতে হবে? এখন বিজেপির মনে হল, নাগরিকত্ব আইন চালু করতে হবে?’’ পাহাড়বাসীকে আশ্বাস দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, ‘‘সবাইকে বলছি, ভয় পাবেন না। আমরা পাশে আছি। সিএএ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এক জন গোর্খাকেও আমরা তাড়াতে দেব না।’’ এর পরই অমিত শাহের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বড় বড় কথা বলছেন। আমাদের পাকিস্তানি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন। অথচ, সকালে এক কথা বলছেন, আর বিকেলে আর এক। আমাদের গালাগালি দিলে হবে না। আমরা যদি মিথ্যে বলি, তা হলে সত্যিটা কী আপনি বলুন?’’ এ দিন সিএএ-এর সূত্র ধরেই এ দিন পাহাড় থেকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (এনপিআর) প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছেন তিনি।

সিএএ-কে বিভাজনমূলক আইন বলে ব্যাখ্যা করে মমতার বক্তব্য, ‘‘এর জন্য ফের লড়তে হলে লড়ব। কিন্তু, দেশ ভাগ হতে দেব না। এক জন গোর্খাকেও আমরা এখান থেকে তাড়াতে দেব না।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘দেশের অর্থনীতি বেহাল। দেশে কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। আর এ সব ব্যর্থতা ধামাচাপা দিতেই বিজেপি এ সব করছে।’’ বিজেপি দেশ জুড়ে ঘৃণার রাজনীতি চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মমতা। বলেন, ‘‘বিজেপির কাজ গুলি করা, মানুষ মারা ও আগুন জ্বালানো।’’ দেশ ভাগ করতে বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে বলেও তাঁর অভিযোগ। এর পরই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় আমরা একটাও ডিটেনশন ক্যাম্প হতে দেব না। প্রথমে আমাকে তাড়ান, তার পরে রাজ্যবাসীকে তাড়াবেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শঙ্খ ঘোষকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়

আরও পড়ুন: থানা থেকে চুরি এক এক করে ১৮টি বন্দুক! ঝাড়গ্রামে ধৃত এসআই

দার্জিলিঙে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের স্বর আরও জোরালো করতে পাহাড়বাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি কর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়ে কিছু বললে বা নথি চাইলে দেবেন না। সমস্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষকে বলছি, আপনারা প্রতিবাদের রাস্তায় নামুন।’’ মমতার বক্তব্যে এ দিন উঠে এসেছে লখনউয়ে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কথাও। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আন্দোলনকারীদের কম্বল ও খাবার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement