(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রেলের ভাড়া বিমানের ভাড়াকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি, রেলের দুর্ঘটনা রোধেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ভারতীয় রেল। এমনই অভিযোগ তুলে নিজের এক্স হ্যান্ডলে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় রেল নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে তাঁর জমানায় দুর্ঘটনা রোধে যে সব প্রযুক্তি চালু করা হয়েছিল, তার ব্যবহার কেন করা হচ্ছে না? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
রেলভাড়া নিয়ে মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘‘দুঃখের বিষয় এই যে রেলের যাত্রীদের ভাড়া অত্যধিক বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং কখনও কখনও ট্রেনের ভাড়া বিমানের ভাড়ার চেয়েও বেশি হয়ে যাচ্ছে! আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?’’ সঙ্গে তাঁর আরও পরামর্শ, ‘‘ভাড়াবৃদ্ধি রোধ করে তা কমাতে হবে। এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।’’ এমন লেখার মাধ্যমে মমতা বোঝাতে চেয়েছেন রেলের ভাড়া যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা দেশের গরিব ও সাধারণ মানুষের কাছে দুরূহ বিষয় হয়ে উঠেছে। রেলওয়ে সূত্রে খবর, জয়পুর থেকে বেঙ্গালুরু ট্রেনের ভাড়া উৎসবের মরসুমে ভাড়া হয় ১১,২৩০ এবং মুম্বই-পটনা ট্রেনের ভাড়া হয় ৯৩৯৫ টাকা।
গত কয়েক মাসে ভারতীয় রেলে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে আগেই বর্তমান রেল প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তুলোধনা করেছিলেন মমতা। রবিবার মমতা লিখেছেন, ‘‘রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আমি অ্যান্টি-কলিশন ডিভাইস এবং অন্যান্য দুর্ঘটনারোধী ব্যবস্থা চালু করেছিলাম। ক্রমবর্ধমান ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে কেন এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না, অথচ জনবিরোধী ভাড়া নেওয়া নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলছে!” করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার সময়ে ওড়িশা গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন মমতা। সঙ্গে রেলকে তাঁর জমানায় শুরু হওয়া প্রযুক্তির ব্যবহার ফের এক বার চালু করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রবিবারও সেই পরামর্শ দিয়ে মোদী সরকারের কাজকর্ম নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি।