কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে উত্ত্যক্ত না করে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে নজর দিক কেন্দ্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বেআইনি মজুত আটকাতে এই পরামর্শই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, জরুরি জিনিসপত্রের দাম কমাতে আনাজের গাড়ির উপর কর না চাপানোর অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। তিনি বলেন, আলু, পেঁয়াজের মতো জিনিস বেআইনি ভাবে মজুত করে রাখা হচ্ছে। যা জরুরি জিনিসপত্রের দাম বাড়ার একটা বড় কারণ। তা রোখার কথা বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে মমতার কটাক্ষ, ‘‘ইডি, সিবিআইকে পিছনে না লাগিয়ে জিনিসপত্রের বেআইনি মজুত বন্ধ করুন। নেতাদের বাড়িতে হানা না করে বাজারে হানা দিন।’’
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ থেকে শুরু করে গরু-কয়লা পাচার সংক্রান্ত বহু মামলায় তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত সাত মাসে সাতটি ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যে। বিভিন্ন কাণ্ডে তলব করা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের। সম্প্রতি গরু পাচার-কাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। ওই একই মামলায় দিল্লিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে সাড়ে আট ঘণ্টা জেরা করেছিল ইডি। এই পরিস্থিতিতে অতীতেও অভিষেক এবং মমতা দু’জনেরই অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে এঁটে উঠতে না পেরে ইডি, সিবিআই-এর মতো সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। এই নিয়েই সোমবার কেন্দ্রকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। তার মধ্যে উত্তরপ্রদেশ-সহ চার রাজ্যে সরকার গড়েছে বিজেপি। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করে মমতা বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের পর রিটার্ন গিফ্ট হিসেবে জ্বালানির দাম কমানোর কথা ছিল। কিন্তু তা তো কমলই না, উল্টে বেড়ে গেল। রান্নার গ্যাসের দাম আকাশছোঁয়া। আলু, পেঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত যাবে কোথায়!’’