আসানসোলের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —নিজস্ব চিত্র।
সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ এবং অল্ট নিউজের সহ প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ বার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার আসানসোলের সভা থেকে বিজেপিকে নিশানা করেছেন তিনি। নাম না করে বিজেপির নিলম্বিত জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার কথাও তুলেছেন মমতা। ‘নোংরা’ কথা বলা সত্ত্বেও কেন বিজেপির নেতানেত্রীদের গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী।
মঙ্গলবার আসানসোলে মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের নেতা যদি ধর্ম নিয়ে মিথ্যে কথা, নোংরা কথা বলে তা হলে আপনারা তাকে গ্রেফতার করেন না। চুপচাপ বসে থাকেন। আপনারা খুন করলেও কোনও কথা হয় না। আর আমরা কথা বললেও আমাদের খুনি বানিয়ে দেন। জুবেরকে কেন গ্রেফতার করেছেন? ও কী করেছিল? কী করেছিল তিস্তা? গোটা দুনিয়ায় এর নিন্দা হচ্ছে।’’ এই সূত্রেই নূপুরের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘নাম নেব না। যে ধর্মকে অপমান করেছে তাকে ক্ষীর খাওয়াচ্ছেন, নিরাপত্তা দিচ্ছেন।’’ এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মমতার হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের সরকার ওঁকে সমন পাঠিয়েছে। আমি ছাড়ব না। যাঁর মিথ্যা কথা বলবে, চিটিংবাজি করবে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করব।’’
গত শনিবার গুজরাতের জঙ্গি দমন শাখার (এটিএস) হাতে গ্রেফতার হন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ। তিনি আপাতত রয়েছেন পুলিশ হেফাজতে। গুলবার্গ সোসাইটি হত্যাকাণ্ডে নিহত কংগ্রেস সাংসদ এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি এবং সমাজকর্মী তিস্তা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন যৌথ ভাবে। তাঁদের দাবি ছিল, ২০০২-এর গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে যে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে তা আদালত খারিজ করে দিক। কিন্তু তিস্তার গ্রেফতারের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। ঘটনাচক্রে, তিস্তার বিরুদ্ধে আমদাবাদের থানায় অভিযোগও দায়ের হয় শনিবার। এর ঠিক পর দিন, অর্থাৎ রবিবার গ্রেফতার করা হয় ‘অল্ট নিউজে’র সহ প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেরকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, বছর চারেক আগে জুবেরের করা একটি টুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে।