কাকদ্বীপের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
গঙ্গাসাগর মেলায় সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশকে সতর্ক করে তাঁর বক্তব্য, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলায় নানা রাজ্য থেকে পুণ্যার্থীরা আসবেন। সেখানে কোনও সাম্প্রদায়িক উস্কানি ও রটনার জন্য লিফলেট বিলি করার চেষ্টা হতে পারে। তাই কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত রাস্তাঘাটে সব জায়গায় সিসিটিভি-র নজরদারি রাখতে হবে।’’
সাগরে প্রস্তুতি দেখতে যাওয়ার পথে সোমবার কাকদ্বীপে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই পুলিশকর্তাদের তিনি আরও বলেন, ‘‘শুধু সিসিটিভি বসানো হল আর সিসিটিভি-র সঠিক নজরদারি হল না, সে ক্ষেত্রে তা গাফিলতির সমান। গঙ্গাসাগর মেলায় সমস্ত সিসিটিভি-র উপর সর্বক্ষণ নজরদারি করতে হবে।’’
বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কলকাতা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারির বিষয়টি ঠিক করতে হবে। কারণ পুণ্যার্থীরা মেলায় পৌঁছন কলকাতা থেকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুলিশের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং কয়েক জন মন্ত্রীও নজরদারি করবেন। তা তিনি ঠিক করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মারই ওদের পাওনা, নিদান দিলেন দিলীপ
জেলাশাসক পি উলগানাথন-সহ বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, সুন্দরবন জেলা পুলিশ সুপারদের মমতা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ অভিযোগ করার পরে পুলিশ খোঁজখবর নেবে, তা আর চলবে না। পুলিশকে আরও সতর্ক হতে হবে। নিজস্ব পদ্ধতিতে আগাম খবর সংগ্রহ করতে হবে। সেইমতো যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশকে অতি সক্রিয় হতে হবে।’’ গঙ্গাসাগর মেলার মূল দায়িত্বে রয়েছে সুন্দরবন জেলা পুলিশ। তাদের পাশাপাশি বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপারদেরও আশপাশের এলাকা-সহ সব দিকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ছাত্র-নিগ্রহে দায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক: মমতা
মেলায় বিভিন্ন জেটি-ঘাটে অযথা পুণ্যার্থীদের ভিড় যাতে না জমে, সেই বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে বাড়তি সতর্কতা নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জেলাশাসককে বলেন, ‘‘সব জেটি-ঘাটে বাঁশের বদলে লোহার রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। কোনও ভাবেই যেন ভিড়ের চাপে রেলিং ভেঙে না যায়।’’