মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
অবাধ, শান্তিপূর্ণ ভোটের পক্ষে সওয়াল করলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব। বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোটার দিবসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, দেশের বৈচিত্রের কথা মাথায় রেখে মানবতা প্রতিষ্ঠিত করতে দুর্বলতাকে প্রতিহত করে ভোটদানে এগিয়ে আসুন ভোটারেরা। এক্স হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বান, নিজের শক্তিতে জেগে উঠুন ভোটারেরা। প্রাতিষ্ঠানিক মানবিকতা সব কিছুর ঊর্ধ্বে। মমতার বার্তা, ‘ভোটারেরা কিছু মানুষকে নির্বাচিত করেন। ফলে তাঁদের ক্ষমতা মুষ্টিমেয় কয়েক জনের থেকে বেশি।’
২২ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। লোকসভা ভোট হবে তার ভিত্তিতেই। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এ দিনের অনুষ্ঠানে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের বার্তা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে গত বিধানসভা ভোটগুলি। আগামী ভোটেও তেমন পরিবেশ আশা করা হচ্ছে। পারস্পরিক আক্রমণের বদলে গঠনমূলক প্রচারের আর্জি জানান রাজনৈতিক দলগুলিকে। নতুন ভোটারদের ভোট দিতে আহ্বান জানান। আশ্বাস দেন, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য সব পদক্ষেপ করবে কমিশন।
মুখ্যসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা বলেন, “প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নির্ভয়ে ভোটদানে অংশগ্রহণ করুন ভোটারেরা।” মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবও ভোটদানে আরও বেশি অংশগ্রহণের আবেদন জানান। অতীতে এ রাজ্যের একাধিক ভোটে অশান্তির নানা ঘটনা শিরোনামে থেকেছে। সে দিক থেকে এই বার্তাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এ দিন ভোট ও ভোটার তালিকার প্রস্তুতিতে অবদানের জন্য কমিশন তিন জেলাশাসককে পুরস্কৃত করেছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ও ত্রুটিমুক্ত করায় পুরস্কৃত হন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী ও হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য। ভোট সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারে পুরস্কৃত হয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা।