মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজবংশী সম্প্রদায় নিয়ে তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এ বারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, যদি কেউ তাঁর মন্তব্যে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ‘ক্ষমাপ্রার্থী’। তাঁর দাবি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গত ২৮ অগস্ট কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর একটি মন্তব্য নিয়ে বিতর্কটি তৈরি হয়েছিল। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মণই প্রথম দাবি তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বংশীবদনের বক্তব্য ছিল, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজবংশী সম্প্রদায় ‘অপমানিত’ হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্ৰতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী সমাজকে অসম্মানিত করেছেন। তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আমরা আন্দোলনে নামব।”
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের মুখে রাজবংশী বিতর্কে সরব হয়েছে সিপিএমও। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী মনুবাদের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘রাজবংশী ও মতুয়াদের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বচন বিপজ্জনক ও অন্যায়। বোঝা যাচ্ছে, আরএসএসের মনোভাবেই তৃণমূল নেত্রী চলেন।’’
এই প্রসঙ্গেই এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের একাংশকে নিজের কথার ব্যাখ্যা দেন। টুইটও করেন। তিনি বলেন, “রাজবংশী সম্প্রদায়কে আমি অপমান করেছি বলা হচ্ছে। (ভিডিয়োয়) পরের লাইনটা দেখে নিলে হয়। আমি বলছি, তাঁদের পায়ে প্রণাম করি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘যদি এর জন্যে কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন, আমি নিজে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনাদের চরণস্পর্শে আমি প্রণাম করি।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরে বংশীবদন বলেন, “মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাওয়ায় আমরা খুশি।” তৃণমূলের তরফে রাজবংশী নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তার পরেও মুখ্যমন্ত্রী বড় হৃদয়ের মানুষ। তিনি সমস্ত মানুষের প্রতি সমান ভাবে শ্রদ্ধাশীল।”